পরিকাঠামো শিল্প যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এটি অন্যান্য শিল্পগুলিকে সহযোগিতা করে। যার অধিকাংশই এমএসএমই সেক্টরের সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত। বাড়ি কেনার জন্য উৎসহ দিয়ে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্তব্যক্তিরা উপকৃত হবে। সুদের হার কমানো ও ব্যঙ্কঋণ সহজ করা হলে এই শিল্পের চাহিদা আরও বাড়বে।
মঙ্গলবার পয়লা ফেব্রুয়ারি ২০২২-২৩ (Union Budget 2022-23) অর্থবর্ষের (Financial) জন্য বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। আর আগেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ট্যাক্স বাড়বে না কমবে। গৃহঋণ কী হতে পারে। আসুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বাজেট ঘিরে কী কী প্রত্যাশা (Budget Expectations) রয়েছে।
১. বাড়ি কেনার জন্য উৎসহ
পরিকাঠামো শিল্প যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এটি অন্যান্য শিল্পগুলিকে সহযোগিতা করে। যার অধিকাংশই এমএসএমই সেক্টরের সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত। বাড়ি কেনার জন্য উৎসহ দিয়ে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্তব্যক্তিরা উপকৃত হবে। সুদের হার কমানো ও ব্যঙ্কঋণ সহজ করা হলে এই শিল্পের চাহিদা আরও বাড়বে।
২. গৃহস্থ সঞ্চায়
দেশের জিডিপি বা আর্থিক উন্নতির জন্য বিনিয়োগের প্রয়োজন রয়েছে। বিনিয়োগ হতে পারে এফডিআই বা মূলধারার অর্থনীতিতে। আর্থিক সম্পদে বিনিয়োগে বাড়ানো জরুরি। সমস্ত আর্থিক সম্পদ জুড়ে বিনিয়োগের দন্য সহজ ও কেন্দ্রীয়ভূত KYC, কর সাশ্রয়ী মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের সীমা দেড় লক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা করা ইতিবাচক পদক্ষেপ হবে।
৩. ব্যক্তিগত অর্থের ওপর ফোকাস
পার্সোলেন ফিনান্স স্কুল এমন একটি বিষয় হতে পারে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে নাগরিকদের বিনিয়োগের একটি চ্যানেল তৈরি করা যেতে পারে। তাই সেদিকেও বাজেটে জোর দেওয়া জরুরি। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৭ শতাংশ এই দেশে বাস করে। কিন্তু যার মধ্যে মাত্র ২৪ শতাংশই অর্থ, সঞ্চয় এই বিষয়গুলি নিয়ে চিন্তাভাবনা করে।
৪. আন ব্যাঙ্কারদের দিকে নজর
যেসব মানুষের এখনও ব্যাঙ্কের খাতা নেই তাদের কাছে পৌঁছাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। ফিনটেক বা ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে তাদের কাছে পৌঁছানো যায়।
৫. গোল্ড বন্ড
প্রকৃত সোনা কেনার চাহিদা কমিয়ে গোল্ড বন্ড কেনার ওপর জোর দেওয়া যেতে পারে। এর ফলে ব্যক্তির আর্থিক অবস্থার পাশাপাশি দেশের আর্থিক পরিকাঠামো দৃঢ়় হবে। বর্তমানে পাঁচ বছরের জন্য গোল্ড কেনা যায়। এই সময়সীমা কমিয়ে তিন বছর করলে অনেকেই উৎসাহিত হবে।
৬. পিপিএফ সীমা
বেতনভোগী শ্রেণীর জন্য সরকার পিপিএফ-এর সীমা বৃদ্ধির কথা বিবেচনা করতে পারে।
৭. হাউজিং লোনের ওপর ট্যাক্স বেনিফিট
সুদ প্রদান ও মূল পরিশোধ-উভয়ের জন্য হাউজিং লোনের ওপর কর সুবিধে ২ লক্ষ ও দেড় লক্ষ টাকার সীমা থেকে প্রতিটি ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকা বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
৮. বিনিয়োগে নজর
বিনিয়োগের লক্ষ্য়মাত্রায় ফোকাস করা জরুরি। কারণ গতবছর সরকার ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা পুরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই বছর সেটি সংশোধন করা জরুরি।
৯. সিকিউরিটি লেনদেন কর
সিকিউরিটি লেনদেন কর বা এসটিটি অপসরণ করা উচিৎ। বা এটি কমিয়ে নেওয়া উচিৎ। প্রাথমিকভাবে এটি দীর্ঘমেয়াদী মূলধল লাভ করের জায়গায় চালু করা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের কথায় ভারতে লেনদেনের খবর অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি।
১০ শেয়ার বাজার
সেবি ব্রোকারদের ট্রেডারদের ইন্ট্রাডে লিভারেজ প্রদান করতে নিষেধ করেছে। এসটিটি হ্রাস এই সংখ্যা আরও বাড়িয়ে তুলবে। ভারতে লেনদেন খরচা কমে গেলে তা বিদেশীদের আরও বেশি করে আকর্ষণ করবে। আমাদের দেশের অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করতে ও এক্সচেঞ্জ বাণিজ্যকে আরও বাড়াবে।
Punjab Election 2022: সিধুর বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ বোনের, ভোটের মুখে ঘরোয়া আশান্তিতে জেরবার কংগ্রেস প্রার্থী
Budget 2022-23: পরপর দুবছর শিক্ষাক্ষেত্রে বাজেটে কাঁচি, এবার কি বরাদ্দ বাড়াবেন নির্মলা সীতারমণ