
অতিমারি করোনার (Covid 19) প্রকোপ ক্রমশ জটিল হচ্ছে। প্রতিনিয়ত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কোভিড সংক্রমনের (Covid effected) হার। হাসপাতাল কর্মী থেকে বিভিন্ন চাকুরিজীবী মানুষের শরীরে থাবা বসাচ্ছে করোনা। সঙ্গে দোসর করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। করোনার কোপে রীতিমত ব্যহত হয়েছে ব্যাঙ্ক পরিষেবা (Bank service)। বিভিন্ন এলাকার ব্যাঙ্ক কর্মীরা করোনার কবলে পড়ছেন। বলা বাহুল্য, অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে ওয়ার্ক ফর্ম হোমের সুবিধা থাকলেও ব্যাঙ্ক পরিষেবার ক্ষেত্রে সেই সুবিধা মোটেই কার্যকর হয় না। করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়েও ব্যহত হয়েছিল ব্যাঙ্ক পরিষেবা। আক্রান্ত কর্মীদের সংখ্যাও নেহাতই কিছু কম ছিল না। ব্যাঙ্ক পরিষেবা ব্যহত হলে স্বাভাবিকভাবেই সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ। করোনার তৃতীয় ঢেউয়েও ব্যাঙ্ক পরিষেবার চিত্রটা প্রায় একই রকম। বিভিন্ন জায়গার ব্যাঙ্ক কর্মীরা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। কম-বেশি প্রতিটি ব্যাঙ্কেরই প্রায় ৫০ শতাংশ কর্মী করোনার কবলে পড়েছেন। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই ব্যাঙ্কিং পরিষেবার গতিও কমেছে (bank Service Down)। ইতমিধ্যেই ঝাঁপ পড়েছে (Branch Close) উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট ২ নম্বর ব্লকে ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের শাখা। এই তালিকা থেকে বাদ যায় নি স্বরূপনগরের ইন্ডিয়ান গ্রামীণ ব্যাঙ্কের শাখাও।
করোনার দাপটে যেভাবে বিভিন্ন রাজ্যে একের পর এক ব্যাঙ্কের শাখা বন্ধ হচ্ছে সেই বিষয় অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশনের তরফে দাবি করা হয়েছে, শেষ ১০ দিনে সংক্রমণের গ্রাফ উর্ধ্বমুখী হওয়ায় প্রতিদিন রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের ১৫-২০টি করে শাখা বন্ধ করে দিতে হয়েছে। ব্যাঙ্ক কর্মীদের প্রায় ৫০ শতাংশই সংক্রমিত। ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ডালহৌসি শাখার এক কর্মী জানিয়িছেন, ব্যাঙ্ক কর্মীদের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। অনেকে আবার অসুস্থ অবস্থাতেও কাজ করে চলেছেন। এর ফলে ব্যাঙ্কের অন্যান্য কর্মী সহ গ্রাহকদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর একটা প্রবল সম্ভবনা থেকেই যায়।
মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে ৫০ শতাংস ব্যাঙ্ক কর্মী নিয়ে ব্যাঙ্ক পরিষেবা চালু রয়েছে। কিন্তু তাতেও হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের হার। সমস্যার সমাধান তো হচ্ছেই না, বরং সংক্রমণের হার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। অফিসার সংগঠনের দাবি অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েও সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি। করোনাতে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা খুব একটা বেশি না হলেও, করোনা সংক্রমণের হার কিন্তু ১০ হাজারের উপরের রয়েছে। উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ ও করোনাতে মৃত্যুর শীর্ষে রয়েছে কলকাতা যে বিষয়টা যথেষ্ঠ উদ্বেগের। একইসঙ্গে আবার করোনা আবহে ফের রাজ্যগুলিকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব। যেখানে পজিটিভিটি রেট বেশি সেখানে করোনা টেস্টের পরিকাঠামো বাড়ানোর কথা বলা হয়েছ সেই চিঠিতে।