এমপ্লয়িজ পেনশন প্রকল্পে বা ইপিএসে ন্যূনতম পেনশন ১ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত করার দাবি ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ বা বিএমএসের। আগামী ২০ জানুয়ারি দেশের বিভিন্ন শহরে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গ্যানাইজেশন অফিসের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে এই সংগঠন।
করোনা পরিস্থিতিতে প্রত্যেক পরিবারেই খরচের পরিমান বেশ খানিকটা করে বেড়ে গিয়েছে। সেই জন্যই এমপ্লয়িজ পেনশন প্রকল্পে (EPS) বা ইপিএসে ন্যূনতম পেনশন যাতে এক হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত করা হয় (To Increase Penssion Five Thousand From 1 Thousand Monthly) সেই দাবিতে এবার বিক্ষোভের পথে (To Protest By BMS) সামিল হতে চলেছে আরএসএসের কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ (BMS) বা বিএমএস। আগামী ২০ জানুয়ারি অর্থাৎ বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীর ঝুলি বৃদ্ধির জন্য দেশের বিভিন্ন শহরে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গ্যানাইজেশন (EPFO) অফিসের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে এই সংগঠন। আরএসএসের শ্রমিক সংগঠন এক বিবৃতিতে সোমবার দিন জানিয়েছে ইপিএসে ন্যূনতম পেনশনের (penssion) পরিমাণ বাড়িয়ে পাঁচ হাজার টাকা করার দাবিতে আগামী ২০ জানুয়ারি দেশের বিভিন্ন ইপিএফও অফিসের (EPFO) সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করবেন এবং ইপিএসের ৬৫ লক্ষ পেনশনভোগীদের দীর্ঘদিনের যে অপূর্ণ দাবি সেই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে একটি স্মারকলিপিও দেওয়া হবে। এছাড়াও সেই বিবৃতি বলা হয়েছে, অতিমারি করোনা পরিস্থিতিতে য সমস্ত বর্ষীয়াণ কর্মীরা অবসর নিয়েছেন তাঁরা পেনশন বাবদ হাতে পেয়েছেন মাত্র এক হাজার টাকা। বলা বাহুল্য, এই সমস্ত কর্মীদের সরকার যে মাসিক অর্থ সাহায্য করে পেনশনের পরিমান তার চেয়ে বেশ অনেকটাই কম। সেই জন্যই এমপ্লয়িজ পেনশন প্রকল্পে (EPS)বা ইপিএসে ন্যূনতম পেনশন এক হাজার টাকা থেকে পাঁচ হাজার টাকার দাবিতে এই বিক্ষোভ সমাবেশ হবে।
ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ বা বিএমএসের তরফে আরও বলা হয় সরকারের উচিত একটি সার্বজনীন পেনশন প্রকল্প তৈরি করা এবং পেনশনের পরিমান হতে হবে এক জন কর্মীর তোলা শেষ বেতনের পরিমানের ৫০ শতাংশ। পর্যন্ত হয়। একইসঙ্গে আবার ইপিএস-৯৫ প্রকল্পকে আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য প্রকল্পের আওতায় আনারও দাবি জানিয়েছে ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ বা বিএমএস। উল্লেখ্য, ২০২১ সাল থেকেই কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি পেনশনের পরিমান বাড়ানোর দাবি তুলেছিল। কিন্তু সেই দাবি কার্যকর করা হয় নি। প্রথম দিকে অবশ্য পেনশনের পরিমান এক হাজার থেকে বাড়িয়ে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত করার দাবি তোলা হয়েছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে খরচের পরিমান বৃদ্ধি পাওয়ায় সেই দাবি পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন-চাকরি বদলানোর সঙ্গে বদলাতে হবে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা, ঘরে বসে অনলাইনে করে ফেলুন এই জরুরি কাজটি, জানুন পদ্ধতি
আরও পড়ুন-Nominee Deadline Extension-বাড়ান হল সময়সীমা,৩১ ডিসেম্বরের পরেও পিএফ অ্যাকাউন্টে যোগ করা যাবে নমিনির নাম
এই প্রসঙ্গে একটা কথা বিষয় জেনে রাখা দরকার, এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিম ১৯৯৫ কর্মীদের জন্য একটি ডিফাইন্ড কনট্রিবিউশন-ডিফাইন্ড বেনেফিট। মহার্ঘ্য ভাতা যেমন বৃদ্ধি পায় সেই রকম কোনও কিছু এই স্কিমের ক্ষেত্রে একেবারেই কার্যকরী নয়। এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড বা ইপিএফের মত বাধ্যতামূলকভাবে ইপিএস অ্যাকাউন্টে অনুদানও দিতে হয় না। কর্মীর হয়ে সেই অনুদান দেয় নিয়োগকারী সংস্থা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দেওয়া হয়ে থাকে ১.১৬ শতাংশ অনুদান। এই নীতি অনুযায়ী কোনও ব্যক্তি যদি ৭০ বছর পর্যন্ত কর্মরত অবস্থায় থাকেন এবং তাঁর পেনশন হয় ১৫ হাজার টাকা তাহলে অবসরের সময় ইপিএস প্রকল্পে মাসিক সর্বাধিক সাত হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত পেনশন পাবেন। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর মোদী সরকার সেই বছরই ১ সেপ্টেম্বর থেকে ইপিএস প্রকল্পে প্রথমবার মাসে ন্যূনতম পেনশন এক হাজার টাকা দেওয়ার নীতি প্রচলন করেছিলেন। সেই সঙ্গে আরও একটি নিয়মের কথাও বলা হয়েছিল, ১ সেপ্টেম্বরের পর এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডে নয়া কর্মী যারা যোগ দেবেন তাঁদের বেতন যদি মাসে পনেরো হাজার টাকার বেশি হয় তারা কিন্তু ইপিএস অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন না।