যে জ্বালানি দিয়ে চলে কোটি কোটি গাড়ি, এবার পাওয়া গেল সেই জ্বালানিরই বিকল্প। পেট্রোলের (Petrol) বিকল্প খুঁজে পেয়েছেন এক মার্কিন ব্যক্তি।
যে জ্বালানি দিয়ে চলে কোটি কোটি গাড়ি, এবার পাওয়া গেল সেই জ্বালানিরই বিকল্প। পেট্রোলের (Petrol) বিকল্প খুঁজে পেয়েছেন এক মার্কিন ব্যক্তি।
আর এই পরিস্থিতিতে দেশে ফিরে গেলে মার্কিন (USA) পেট্রোলিয়াম সংস্থাগুলি তাঁর ওপর নির্যাতন চালাতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তিনি। এমনকি, প্রাণহানিরও আশঙ্কা রয়েছে তাঁর। তাই তাঁকে ভারতে আশ্রয় দেওয়ার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মামলা করলেন এক ব্যক্তি।
সেই ব্যক্তির ভিসার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ জুন। সেই মেয়াদ বাড়ানোরও আর্জি জানান তিনি। তিনি নিজেকে আমেরিকার নাগরিক বলে দাবি করেছেন। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট, ভারত সরকারের মতামত জানতে চেয়েছে। আগামী সোমবার, দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অরবিন্দ কুমার এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার অবসরকালীন বেঞ্চ সেই মামলাটি ফের এজলাসে শুনবে।
তবে শীর্ষ আদালত ইঙ্গিত দিয়েছে যে, মামলাটি হাইকোর্টে পাঠানো হতে পারে। কারণ, ব্যক্তিগত স্তরে আর্জি জানিয়ে একজনের মামলা যদি গ্রহণ করা হয়, তাহলে অনেকেই সেই রাস্তায় হাঁটতে পারেন।
কিন্তু সেই ব্যক্তি আসলে কে? ক্লড ডেভিড কনভিসার নাম তাঁর। তিনিই এই মামলাটি করেছেন। তিনি নাকি পেট্রোলের বিকল্প খুঁজে পেয়েছেন। আর আমেরিকাতে ফিরে গেলে তাঁর ওপর পেট্রোলিয়াম সংস্থাগুলি নির্যাতন চালাতে পারে। তাই তিনি ভারতে থাকতে চান। তিনি মূলত বিজনেস ভিসায় ভারতে আসেন।
আপাতত কেরালাতে (Kerala) আছেন। ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন যে, তাঁকে যেন অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষাকবচ প্রদান করা হয়। কারণ, তিনি আদতে হিন্দুধর্ম (Hindu Religion) পালন করেন এবং অমৃতানন্দময়ী দেবীর শিষ্য। তাঁর বক্তব্য, “আমি এই দেশের বিশ্বাস মেনে চলি। আমি আমার গুরু অমৃতানন্দময়ী মায়ের অধীনেই থাকতে চাই।”
নিজেকে আমেরিকার নাগরিক হিসেবে দাবি করে ওই ব্যক্তি বলেন যে, নিজের নাগরিকদের রক্ষা করার জন্য বলিষ্ঠ হয় প্রতিটি দেশের সরকার। যদিও সেই সওয়ালের প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত বলেছে যে “প্রাথমিকভাবে আমাদের মনে হয় যে, এই বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়া উচিত। আমরা যদি এরকম পিটিশন শুনি, তাহলে ফ্লাডগেট খুলে যাবে।”
উল্লেখ্য, তাঁর ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য গত ১৬ মার্চ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে একটি চিঠি লেখেন তিনি। তারপর ভারতে আশ্রয় দেওয়ার আর্জি জানিয়ে আবার ৯ মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি লেখেন বলে দাবি করেছেন ওই ব্যক্তি।
সেই সওয়ালের পরিপ্রেক্ষিতে অতিরিক্ত অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল বিক্রমজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনও নির্দেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। তবে সেই বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) কী মত, তা জানতে চায় শীর্ষ আদালতের অবসরকালীন বেঞ্চ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।