টাকা জমাতে চান? এই পাঁচটা কাজ অবশ্যই করুন- তাহলেই উপচে পড়বে 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার'
জীবনে আপনি কত টাকা আয় করেন তা গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্বপূর্ণ হল আপনি কত টাকা সঞ্চয় করেন! আয় করার পর যদি সব টাকা খরচ করে ফেলেন তাহলে শেষে কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। তাই আর্থিক ব্যবস্থাপনা সকলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
টাকা জমাতে হলে প্রথমে কী করতে হবে? এক মাসের সব খরচ লিখে রাখুন। কিছুই বাদ দেবেন না। তাহলেই বোঝা যাবে কোথায় অযথা খরচ হচ্ছে। তবে আপনি যদি খরচের উপর নজর রাখতে চান, তাহলে বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন।
বাজেট গুরুত্বপূর্ণ!
কী কী প্রয়োজন, কী কী কিনতে হবে তা ঠিক করার পর, আয় এবং ব্যয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাজেট তৈরি করুন। অত্যাবশ্যকীয় জিনিসপত্র, সঞ্চয় ইত্যাদির জন্য আলাদা আলাদাভাবে অর্থ বরাদ্দ করুন। অপ্রত্যাশিত খরচ যাতে বাধা সৃষ্টি না করে তার জন্য পরিকল্পনা করুন।
খাবার খচর অনেক
বাইরের খাবার খেতে সুস্বাদু লাগে! তবে খরচ বেশি হয়। তাই আগে থেকেই খাবারের পরিকল্পনা করে ঘরে রান্না করুন। সব ধরনের জিনিসপত্র একসাথে কিনুন। তাতে করে বিভিন্ন ধরনের রান্না করতে পারবেন। সপ্তাহান্তে একটু বিশেষ সময় কাটিয়ে ভালো করে খান।
দুপুরের খাবার করে নিয়ে যান!
আপনি যদি চাকরিজীবী হন, তাহলে অবশ্যই দুপুরের খাবার বাড়ি থেকে করে নিয়ে যাবেন। এতে অনেক টাকা বেঁচে যাবে। টিফিন বক্সে করে খাবার নিলে শরীরও ভালো থাকবে। এই টাকা জমবে।
কেনাকাটা
ছোট ছোট পরিবর্তনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল কমানো সম্ভব। ঘর থেকে বের হওয়ার সময় লাইট, ফ্যান বন্ধ করতে ভুলবেন না। এলইডি বাল্ব ব্যবহার করুন। এতে বিদ্যুৎ বিল কম আসার সম্ভাবনা থাকে।
কেনাকাটা করুন বুদ্ধিমানের মতো!
কেনাকাটা করার সময় বুদ্ধিমানের মতো চিন্তা করুন। জিনিসপত্রের দাম তুলনা করুন। কোনও ছাড় বা কুপন আছে কিনা দেখুন।
প্রয়োজন কোনটা
আজকাল অনেক কিছুর জন্যই (যেমন- ওটিটি) সাবস্ক্রিপশন লাগে। কিন্তু যেগুলো কম ব্যবহার করেন, সেগুলোর জন্য সাবস্ক্রিপশন নেবেন না। চাইলে বন্ধুদের সাথে বা পরিবারের সাথে ভাগাভাগি করে সাবস্ক্রিপশন ব্যবহার করতে পারেন।
প্রয়োজন আছে কি না নিজেকেই প্রশ্ন করুন!
কোনও জিনিস কেনার আগে নিজেকেই প্রশ্ন করুন, এটা কি আসলেই আমার প্রয়োজন? দু'দিন অপেক্ষা করুন। মানসিক চাপের মধ্যে থাকলে কেনাকাটা করতে যাবেন না। এতে করে অनावश्यक জিনিস কেনা থেকে বিরত থাকা যাবে।
লক্ষ্য গুরুত্বপূর্ণ
সব সময় শপিং মলে গিয়ে টাকা খরচ করার পরিবর্তে, মাঝে মাঝে বিনামূল্যে পার্ক, লাইব্রেরিতে যান। হেঁটে বেড়াতে যান। কোনও প্রবেশ মূল্য নেই এমন স্থানীয় অনুষ্ঠান, বই বিক্রয় মেলায় অংশগ্রহণ করুন। উৎসবের সময় মেতে উঠুন।
লক্ষ্য স্থির করুন
সবশেষে, আপনি কেন সঞ্চয় করছেন তা আগে ঠিক করুন। জরুরি তহবিলের জন্য, নাকি বেড়াতে যাওয়ার জন্য, নাকি বাড়ি কেনার জন্য, আপনি যার জন্যই সঞ্চয় করতে চান না কেন, তা আগে ঠিক করে নিন। তারপর আপনার লক্ষ্যকে ভাগ করে নিন। তাহলে, এই সহজ টিপসগুলি অনুসরণ করে আপনি আরও বেশি সঞ্চয় করতে পারবেন। আর্থিক লক্ষ্য পূরণ করতে পারবেন।