বর্তমানে EPFOর অধীনে অন্তর্ভুক্ত হওয়া কর্মীদের নূন্যতম মজুরি সীমা ১৫০০০ টাকা। ১০ বছর পরে বাড়তে পারে টাকা।
কেন্দ্রীয় সরকার কর্মচারী ভবিষ্য তহবিল প্রকল্প (EPFO)র অধীনে নূন্যতম মজুরি সীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে। কেন্দ্রীয় ভবিষ্য তহবিল প্রকল্পে নূন্যতম মজুরি সীমা (Minimum Wages Act) বাড়াতে পারে আগামী হছর থেকে। বর্তমানে এই প্রকল্পের সীমা ১৫০০০ টাকা। আগামী বছর এই প্রকল্পের টাকা ২১ হাজার টাকা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
বর্তমান মজুরি
বর্তমানে EPFOর অধীনে অন্তর্ভুক্ত হওয়া কর্মীদের নূন্যতম মজুরি সীমা ১৫০০০ টাকা। ২০১৪ সালে এই প্রকল্পের সীমা সর্বশেষ বাড়িয়ে ৬৫০০ টাকা থেকে ১৫০০০ টাকা করেছে। তারপর থেকে এই প্রকল্পের সীমাতে আর কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। প্রায় এক দশক পরে এই প্রকল্পের সীমা বাড়ান হতে পারে।
নূন্যতম মজুরি বাড়ার কারণ
কেন্দ্রীয় সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা নীতির আওতায় কর্মীদের ভবিষ্যতের তহবিল তথা প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পেনশন স্কিমে অবদান বা়ড়ানোর জন্য এই উদ্যোগ নিতে পারে। সরকারি ও বেসরকারি কর্মীদের নূন্যতম বেতনের সীমা বাড়ানো হলে অধিক সংখ্যাক কর্মী এই সিস্টেমের অন্তর্ভুক্ত হবে। তাদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের জমা বাড়বে।
মজুরি নির্ধারণ
যদি মজুরি সীমা বাড়িয়ে ২১ হাজার টাকা করা হয় তালে কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের তহবিলের জন্য আরও টাকা কাটা হবে। এর পাশাপাশি কর্মীদের পেনশন স্কিমেও টাকা বাড়ান যাবে। বর্তমানে, EPF তহবিলের ১২ শতাংশের মধ্যে ৮.৩৩ শতাংশ পেনশন স্কিমে জমা হয় এবং বাকি ৩.৬৭ শতাংশ EPF অ্যাকাউন্টে জমা হয়।
কেন্দ্রীয় সরকারের এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত কর্মচারীদের সামাজিক নিরাপত্তা আরো বাড়াবে। ২১,০০০ টাকার মজুরি সীমা বাড়ানোর ফলে কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে আরও টাকা জমা হবে, যা তাদের ভবিষ্যতকে আরও সুরক্ষিত করবে। এই কারণে সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছেন দেশজুড়ে কর্মীরা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।