গ্রাহকরা কতগুলো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন তার কোনো সীমা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নির্ধারণ করেনি।
বর্তমানে অনেকেরই বিভিন্ন প্রয়োজনে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ডিজিটাল ব্যবস্থার মাধ্যমে ঘরে বসেই অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ পাওয়ায় অনেকেই একাধিক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। বর্তমানে ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং-এর মাধ্যমে সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলার আবেদন, KYC সম্পন্ন করা এবং অ্যাকাউন্ট শুরু করতে মাত্র কয়েক মিনিট সময় লাগে। তবে, যত ইচ্ছা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলা যাবে না। একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকলে আর্থিক ব্যবস্থাপনা সহজ হয়, তবে এগুলো পরিচালনা করাও কষ্টকর।
গ্রাহকরা কতগুলো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন তার কোনো সীমা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নির্ধারণ করেনি। তাই একজন ব্যক্তি একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। তবে এর কিছু অসুবিধা রয়েছে।
ন্যূনতম ব্যালেন্স:
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ন্যূনতম ব্যালেন্স। একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকলে সব অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালেন্স বজায় রাখা কঠিন হতে পারে। প্রতিটি সেভিংস অ্যাকাউন্টের জন্য ন্যূনতম ব্যালেন্সের একটি নির্দিষ্ট সীমা থাকে। যদি আপনি এই সীমা বজায় রাখতে না পারেন, তাহলে ব্যাঙ্ক জরিমানা করতে পারে।
আর্থিক পরিকল্পনা:
একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টধারীদের সঠিক আর্থিক পরিকল্পনা করা উচিত। প্রতিটি অ্যাকাউন্টের লেনদেন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখা প্রয়োজন। কোন অ্যাকাউন্টে কত টাকা আছে সেটা জানা থাকা জরুরি।
সুবিধা এবং খরচ:
ব্যাঙ্ক-এর দেওয়া সুবিধার সাথে খরচ তুলনা করা উচিত। যদি সুবিধার তুলনায় খরচ বেশি হয়, তাহলে সেই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া ভালো।
বিভিন্ন ধরনের অ্যাকাউন্ট:
বর্তমানে, কারেন্ট অ্যাকাউন্ট, বেতন অ্যাকাউন্ট, স্থায়ী আমানত অ্যাকাউন্ট, আবর্তক আমানত অ্যাকাউন্ট, এনআরআই অ্যাকাউন্ট, এনআরও অ্যাকাউন্ট ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ ব্যাংকগুলো দিয়ে থাকে। গ্রাহকরা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন; সুদের সুবিধার কারণে বেশিরভাগ মানুষ সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলেন। সেভিংস অ্যাকাউন্টেও বিভিন্ন বিকল্প রয়েছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।