বিশ্ব অর্থনীতিক অর্ধক প্রবৃদ্ধি সীমাবদ্ধ থাকবে ভারত আর চিনের মধ্যে। বিশ্ব অর্থনীতির বৃদ্ধি হবে মাত্র ৩ শতাংশ।
বিশ্ব অর্থনীতির জন্য খারাপ খবর হলেও ভারতের জন্য আশার কথাও শোনালেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা IMF-র প্রধান। তিনি বলেছেন, ২০২৩ সাকে বিশ্বব্যাপী আর্থিক প্রবৃদ্ধির অর্ধেকটাই জুড়ে থাকবে ভারত আর চিনের আর্থনীতি। তবে বিশ্বব্যাপী আর্থিক প্রবৃদ্ধির হার তিন শতাংশেরও কম হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।। IMF এর প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা ইতিমধ্যেই সতর্ক করে দিয়েছেন। বলেছেন, গত বছর বিশ্ব জুড়ে আর্থিক মন্দা দেখা দিয়েছিল তা এই বছরও অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাবও পড়বে দেশীয় অর্থনীতির ওপর।
IMF প্রধান বলেছেন, চলতি বছর ধীর গতিতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সময়কাল দীর্ঘায়িত হবে। আগামী পাঁচ বছর আর্থিক প্রবৃদ্ধির হাত তিন শতাংশেরও কম হবে বলেও আশা করা হয়েছে।তিনি আরও বলেছেন, ১৯৯০ সালের পর থেকে সর্বনিম্ন মধ্যেমেয়াদী প্রবৃদ্ধি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এটাই। গত দুই দশকের গড় ৩য়৮ শতাংশের নিচে থাকবে।
IMF এর প্রধানের ব্যাখ্যা উদীয়মান অর্থনীতি থেকে কিছু গতি আসবে। এশিয়া একটি উজ্জ্বলতম স্থান হিসেবে নিজের জায়গা তৈরি করবে। ভারত ও চিন ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধির অর্ধেক হবে বলেও আশা করা হচ্ছে। কিন্তু অন্যদের অর্থনৈতিক গ্রাফ আরও উর্দ্বগামী হয়েছে।
২০২২ সালে রাশিয়া আর ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব যথেষ্টই পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষেত্রে। যার কারণে বিশ্ব অর্থনীতির বৃদ্ধির গ্রাফ অর্ধেক হয়ে গেছে। ৬.১ শতাংশ থেকে ৩.৪ শতাংশে নেমে এসেছে। IMF প্রধান বলেছিলেন মন্থর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর গুরুতর আঘাত হবে যা নিম্ন আয়ের বা অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের জন্য আরও কঠিন সমস্যা তৈরি করবে। বিশ্ব জুড়ে আর্থিক সংকট শুরু হয়েছিল কোভিড সংক্রমণের সময়। দিনে পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। দারিদ্র আর খুদা আরও বাড়বে বলেও মনে করছেন।
ইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংকের পরের সপ্তাহের বসন্ত বৈঠকের আগে এসেছে, যেখানে নীতি-নির্ধারকরা বিশ্ব অর্থনীতির সবচেয়ে চাপের বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করার জন্য একত্রিত হবেন।
বার্ষিক সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হবে কারণ বিশ্বজুড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলি দ্রুতগতিতে মুদ্রাস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে সুদের হার বাড়াচ্ছে। তিনি বলেন প্রায় ৯০ শতাংশ উন্নত অর্থনীতি এই বছর তাদের প্রবৃদ্ধি হার হ্রাস করতে পারে। নিম্ম আয়ের দেশগুলির জন্য তাদের রফতানির চাহিদা দুর্বল হওয়ার সময়ে উচ্চতর ঋণ নেওযার খরচও বাড়বে। জর্জিয়েভা বলেছেন. ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের পর থেকে বিশ্বব্যাপী ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা একটি দীর্ঘপথ অতিক্রম করেছে। তখন শুধুমাত্র ব্যঙ্ক নয় অ-ব্যাঙ্কগুলিতেও যেসব দুর্বলতা ছিল উদ্বেগ তৈরি করেছে। তিনি বলেছেন তাই এই সময় আত্মতুষ্টির সময় নয়।