মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার আগে এই কয়েকটি টিপস জেনে নিন, হবে দারুণ লাভ
শেয়ারবাজার অনেক উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে, মিউচুয়াল ফান্ড আজকাল বিনিয়োগের জন্য একটি খুব ভাল এবং জনপ্রিয় বিকল্প হয়ে উঠেছে। কিন্তু বিনিয়োগকারী হিসেবে কোন মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করবেন ও কেন, জেনে নিন।
বিনিয়োগকারীদের তাদের পোর্টফোলিওতে বৈচিত্র্য আনতে এবং দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক লক্ষ্য পূরণের সুযোগ দেয়। কিন্তু প্রতিটি সেক্টরের মতো, মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ পরিকল্পনার কিছু ঝুঁকি এবং চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যা বিনিয়োগের আগে জানা এবং বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।
ঝুঁকি হ্রাস করে মুনাফা পাওয়ার জন্য, একজন ব্যক্তির বিনিয়োগের সময় খুব সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, কারণ বিনিয়োগকারীরা প্রায়শই স্বাভাবিক কিছু প্রদান করে। একজন বিনিয়োগকারী হিসাবে, আপনি কি দিতে হবে?
বিনিয়োগকারীদের সবচেয়ে বড় ভুল হল তারা কোনো সংশোধন করে না এবং কোনো স্কিমে অন্ধভাবে বিনিয়োগ করে না। আপনি যদি সঠিক তথ্য ছাড়াই কোনো স্বেচ্ছাসেবী প্রকল্পে বিনিয়োগ করার কথা ভাবছেন, তাহলে আপনার অর্ধেক সংশোধন করা উচিত। মানে প্রকল্পের সাথে সম্পর্কিত সমস্ত বিবরণ যেমন নথি, তথ্য পত্র ইত্যাদি।
অনেক বিনিয়োগকারী একই ফান্ডের কর্মক্ষমতা দেখেন। অনেক বিনিয়োগকারী একই ভুল বারবার করে থাকেন। অনেক ফান্ড অতীতে ভালো করেছে, তার মানে এই নয় যে তারা ভবিষ্যতে ভালো করবে। বিনিয়োগকারীদের সব মানদণ্ড মাথায় রেখে বিনিয়োগ করতে হবে। বিনিয়োগকারীদের ফান্ডের বর্তমান অবস্থা, ট্র্যাক রেকর্ড, কৌশল দেখে বিনিয়োগ করা উচিত।
কখনও কখনও বিনিয়োগকারীরা একটি তহবিলকে অন্য তহবিলের সাথে তুলনা করতে ভুল করে। এমন পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীর উচিত যে কোনো অংশগ্রহণকারীর সঙ্গে তহবিলের তুলনা করা।
মিউচুয়াল ফান্ডের উদ্দেশ্য দীর্ঘমেয়াদী লাভ করা এবং বিনিয়োগকারীদের তাড়াহুড়ো করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়। যদি বিনিয়োগকারীর তহবিলকে হুমকি বলে মনে হয়, তবে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই এবং যে কোনও সিদ্ধান্ত সাবধানে বিবেচনা করা উচিত।
মিউচুয়াল ফান্ডের লাভ পেতে, বিনিয়োগকারীদের সর্বদা সম্পদ বরাদ্দ এবং তহবিলের বৈচিত্র্যের কথা মাথায় রাখতে হবে। অনেক বিনিয়োগকারীর সবচেয়ে বড় ভুল হল যে তারা তাদের সমস্ত অর্থ একটি তহবিলে রাখে, যা খুব বিপজ্জনক হতে পারে, তাই বিনিয়োগকারীদের এই ভুলটি এড়ানো উচিত।
যে কোনো ফান্ড বিনিয়োগ করার পর বিনিয়োগকারীকে ব্যালেন্স রাখতে হবে। একজন বিনিয়োগকারীকে সবসময় তার বিনিয়োগের দিকে নজর রাখতে হবে। বিনিয়োগকারী যদি তার বিনিয়োগের দিকে নজর রাখে, তাহলে বুঝতে হবে সে কতটা লাভ বা ক্ষতি পায়।
যদি বিনিয়োগকারী মনে করেন যে তার করা বিনিয়োগে খুব বেশি রিটার্ন নেই, তাহলে তিনি উপযুক্ত সময়ে তার তহবিল উত্তোলন করতে পারেন।