বাজেট পেশের পর থেকেই সোনা-রূপার দাম বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা চলতে থাকে। কিন্তু ভারতীয় জুয়েলারির বাজারে যে এই শুক্ল বৃদ্ধির বিশেষ প্রভাব পড়বে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন শুভঙ্কর সেন।
নির্মলা সীতারমনের বাজেটে সোনা-রূপার থেকে হীরে ও প্ল্যাটিনামের দামের উপর বিশেষ প্রভাব পড়ার কথা বলা হলেও ভারতীয় জুয়েলারি ইন্ডাস্ট্রিতে বাজেটের প্রভাব খুবই নূন্যতম বলে জানালেন সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডের ম্যানেজিং ডায়েরেক্টর ও সিইও সুভঙ্কর সেন। আজই সংসদ অধিবেশনে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এটিই দ্বিতীয় মোদী সরকারের শেষ বাজেট। এদিন কেন্দ্রীয় বাজেটে সোনা-রূপার আমদানির উপর ডোর ট্যাক্স বৃদ্ধির কারণে সোনা-রূপার দামের উপরও প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছিল বিশেষজ্ঞ মহল। কিন্তু একেবারে উলটো কথা বললেন সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডের ম্যানেজিং ডায়েরেক্টর ও সিইও সুভঙ্কর সেন।
আজ সাধারণ বাজেট পেশের পর থেকেই সোনা-রূপার দাম বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা চলতে থাকে। কিন্তু ভারতীয় জুয়েলারির বাজারে যে এই শুক্ল বৃদ্ধির বিশেষ প্রভাব পড়বে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন শুভঙ্কর সেন।
বাজেট নিয়ে কী বললেন সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডের ম্যানেজিং ডায়েরেক্টর ও সিইও সুভঙ্কর সেন?
'সেনকো কর্তার মতে ভারতীয় সোনার গয়নার বাজারে বাজেটের প্রভাব নগন্য। এই অর্থবর্ষের শুরুতেই সোনা ও প্ল্যাটিনামের বারের উপর শুল্ক বাড়ানো হয়েছিল। তাই সোনার বারের দামে বাজেটের নতুন কোনো প্রভাব পড়বে না। মোট সোনার আমদানির একটি ছোট অংশই ডোরের আমদানি। তাই ডোর শুল্ক ২.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় শোধনাগারগুলির ব্যবসার উপর প্রভাব পড়লেও গহণা শিল্পের উপর বিশেষ প্রভাব পড়বে না।' এর কারণ হিসেবে তিনি বলেছন,'সেনকো গোল্ডের মতো যারা সোনার গয়নার ব্যবসা করেন তারা বেশিরভাগই ব্যাঙ্ক থেকে সোনার বার কিনি। খুব কমই বাইরে থেকে সোনার গয়না আমদানি করা হয়। তাই ডোর শুল্প বৃদ্ধির এমন কিছু প্রভাব গয়নার ব্যবসায় পড়বে না।'
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বাজেটের প্রশংসা করলেন দেশের বিশিষ্টরা। সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারারস (সিয়াম)-এর সভাপতি বিনোদ আগারওয়াল এইবারের বাজেট প্রসঙ্গে জানিয়েছেন,'মূলধনের উপর ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধির পাশাপাশি ১৩.৭ লক্ষ কোটি টাকার কার্যকর বৃদ্ধি অটো সেক্টরে বিশেষ ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তিনি আরও পড়েন,'অটো শিল্পে স্থায়ীত্ব ও ডিকার্বনাইজেশনের উদ্যোগ এবং হাইড্রোজেন, ইথানল ব্লেন্ডিং, বায়ো গ্যাস, বৈদ্যুতিক যান এবং ব্যাটারি স্টোরেজের উপর জোড় দিয়েছে।' এছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকারের পুরানো যানবাহন প্রতিস্থাপনের জন্য বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের অর্থায়নের ঘোষণারও প্রশংসা করেছেন তিনি। তিনি আরও সংযোজন করেন,'বাজেটের আরেকটি প্রশংসনীয় বৈশিষ্ট্য হল ব্যক্তিগত আয়করের কার্যকর হার কিছুটা কমিয়ে জনগনের হাতে আরও বেশি অর্থ রাখা। যার ফলে খরচ বাড়বে, এবং স্বাভাবিক ভাবেই চাহিদাও বাড়বে।' বাজেট প্রসঙ্গে বিএসই-এর ম্যানেজিং ডায়েরেক্টর ও সিইও সুন্দররমন রামমূর্তি বললেন,'২০২৩ সালের বাজেটও পূর্ববর্তী বাজেটের মতোই। দেশ যখন সবচেয়ে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল তখন আত্মনির্ভর ভারত এবং অমৃত কালের উপর জোড় দিয়ে ভারতকে সফলভাবে পরিচালিত করেছিল। এমএসএমই সেক্টর, অবকাঠামো নির্মাণের উপর যেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তা অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। সবুজ শক্তি, পর্যটন, শুল্ক যৌক্তিকতা ব্যবহার করে রপ্তানি অভিমুখীকরণ ব্যবসার ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগ এবং দেশীয় পুঁজিকে আরও আকর্ষনীয় করে তুলবে।' পাশাপাশি তিনি আরও বলেন 'শ্রী আন্না খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি এবং স্বয়ংসম্পূর্ণতার একটি অভিনব ধারণা নিয়ে এসেছে। ব্যক্তিগত কর ব্যবস্থাও তার যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।'
আরও পড়ুন -
বাজেটের ফলে বিয়ের মৌসুমে সোনা-রুপোর দাম কেমন প্রভাব পড়ল, মধ্যবিত্তের চিন্তা ঘুচলো কি না দেখে নিন
দেশের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে, বাজেট নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া কংগ্রেসের