চলতি মাসের পর বা আগামী মার্চের মধ্যেই ওয়াশিং মেশিনের দাম পাঁচ থেকে দশ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। প্যানাসনিক, এলজি ও হেয়ারের মত সংস্থা গুলো তাদের প্রোডাক্টের দাম আগেই বাড়িয়েছিল। সোনি, হিটাচি, গোদরেজের জিনিসের ওপর ত্রৈমাসিকের শেষ বেশ খানিকটা দাম বাড়তে পারে।
নতুন বছরের (New Year)শুরুতেই সাধারণের জন্য অপেক্ষা করছে বড় ধাক্কা। এক ধাক্কায় অনেকটা বাড়তে পারে বৈদ্যুতিন জিনিসের দাম (Elactronics Good Price Hike)। কাঁচামাল ও পণ্য পরিবাহনের খরচ বৃদ্ধির জন্যই বাড়তে পারে কয়েকটি জিনিসের দাম। সম্ভাব্য দাম বৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে এয়ার কন্ডিশনার, রেফ্রিজেটর ও ওয়াশিং মেশিন। উল্লেখ্য, আজকাল প্রতিটি মধ্যবিত্ত ঘরেই এই কয়েকটি জিনিসের বিপুল চাহিদা রয়েছে। অনেকে তো আবার শীতকালে এয়ার কন্ডিশনার কিনে বেশ কিছুটা টাকা বাঁচাতে চান। কিন্তু সেই সুযোগ আর খুব বেশিদিন পাওয়া যাবে না। চলতি মাসের পর বা আগামী মার্চের মধ্যেই ওয়াশিং মেশিনের দাম পাঁচ থেকে দশ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, বেশ কয়েকটি বৈদ্যুতিন প্রোডাক্টের (Electronics Goods) সংস্থা যেমন প্যানাসনিক, এলজি ও হেয়ারের মত সংস্থা গুলো তাদের প্রোডাক্টের দাম আগেই বাড়িয়েছিল। এবার সোনি, হিটাচি, গোদরেজের জিনিসের ওপর ত্রৈমাসিকের শেষ বেশ খানিকটা দাম বাড়তে পারে। এই ভোগ্যপণ্য সংস্থার সংগঠন ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েন্সেস ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এরিক ব্রাগানজা বলেন, জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ভোগ্যপণ্যের ওপর পাঁচ থেকে সাত শতাংশ পর্যন্ত দাম বৃদ্ধি পেতে চলেছে (Price Hike)।
বলা বাহুল্য, ফেস্টিভ সিজনের জন্য বিভিন্ন ইলেকট্রনিক জিনিসের দাম বৃদ্ধি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে এখন দাম না বাড়িয়ে আর কোনও উপায় নেই। প্যানাসনিক কোম্পানি তো আগেই এয়ার কন্ডিশনারের দাম ৮ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছিল। আর এখন কাঁচামাল ও পণ্য পরিবহনের দাম বৃদ্ধির দায় ক্রেতাদের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়ার একটা প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে। এলজি ইলেকট্রনিক্স ইন্ডিয়ার কর্ণধার দীপক বনসাল জানিয়েছেন, জিনিসের দাম বাড়লেও ক্রেতাদের সুবিধার দিকে নজর রাখবে সংস্থা। তবে দাম যে বাড়বে সেই কথা তিনিও নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে হায়ার অ্যাপ্লায়েন্সেস ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট সতীশ এলএসের গলাতেও সেই একই সুর, কাঁচামালের দাম যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনই বাড়ছে পণ্য পরিবাহনের খরচ। সেই জন্যই রেফ্রিজেটার, ওয়াশিং মেশিন ও এয়ার কন্ডিশনারের মত ইলেকট্রনিক্স জিনিসের দাম এক ধাক্কায় অনেকটা বাড়তে চলেছে। এদিকে আবার প্যানাসনিক কোম্পানির ডিভিশনাল ডিরেক্টর ফুমিয়াসু ফুজিমোরি সাধারণের চাপ কিছুটা বাড়িয়ে বলেন, ইতিমধ্যেই এয়ার কন্ডিশনারের দাম ৮ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে ঠিকই, আগামী দিনে দামের গ্রাফ আরও উর্ধ্বমুখী হবে(Price Hike)।
আরও পড়ুন-Vegetable Market-অগ্নিমূল্য সবজি বাজার, একলাফে দ্বিগুণ দাম বাড়ল ওলকপির, সেঞ্চুরির ঘরে পটল
আরও পড়ুন-বছর শুরুতেই বড় ধাক্কা ভিআই ইউজারদের , একধাক্কায় ৬০১ টাকার রিচার্জ প্ল্যানের সময়সীমা ৫৬ দিন থেকে কমল ২৮ দিনে
একদিকে অতিমারি করোনা সংক্রমণের হার বাড়ছে রকেটের গতিতে। কর্মসংস্থান নিয়ে ফের কপালে চিন্তার ভাঁজ চাকুরিজীবীদের। ব্যাবসায়িক ক্ষেত্রেও প্রভাব পড়ার একটা সম্ভবনা রয়েছে। তার মাঝেই জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি সাধারণের অস্বস্তিকে আরও বেশ খানিকটা বাড়িয়ে দিল সে কথা বলাই বাহুল্য। একই সঙ্গে বেশ কিছুটা চিন্তিত দোকান মালিকও। জিনিসের দাম যদি এই হারে বাড়তে থাকে তাহলে বিক্রির সম্ভবনাও অনেকটা কমে আসে। ফলে লাভের পরিমানও কমবে। গরম আসার আগেই এয়ার কন্ডিশনারের পাঁচ থেকে দশ শতাংশ দাম বাড়ার খবরে কিছুটা হতাশো বটে সাধারণ মানুষ।