জাতীয় তেল প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলোর তরফে জানান হয়েছে, ১৯ কেজি বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কমেছ ১০২ টাকা ৫০ পয়সা। ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের নতুন দাম ধার্য করা হল ১ হাজার ৯৯৮ টাকা ৫০ পয়সা।
বর্ষশেষের দিন থেকেই রসনাগৃহে খুশির হাওয়া। বর্ষশেষের দিন প্রতি লিটার ভোজ্য তেলের দাম কমল ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা। আর নববর্ষেই আরও একটা খুশির খবর। দাম কমল বাণিজ্যিক রান্নার গ্যাসের(Commercial Gas Cylinder)। রান্নার তেল আর গ্যাসের দামের পতনে রসনাতৃপ্তিতেও মিলবে বেশ খানিকটা স্বস্তি। নতুন বছর শুরুর দিনই সকলের কাছে পৌঁছে গেল সুখবরটি। এক ধাক্কায় ১০০ টাকার বেশি দাম কমল রান্নার গ্যাসের। জাতীয় তেল প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলোর তরফে জানান হয়েছে, ১৯ কেজি বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কমেছ ১০২ টাকা ৫০ পয়সা। বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম কমার ফলে উপকৃত হলেন রেস্তোরা ও ছোট খাটো খাবারের দোকানের মালিকরা। ১ জানুয়ারি থেকেই কার্যকরী(New Price Starts From 1st Jan) হল বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের নতুন দাম। নতুন বছর, ২০২২ সাল থেকে বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের নতুন দাম ধার্য করা হল ১ হাজার ৯৯৮ টাকা ৫০ পয়সা।
বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কমার ফলে শুধু খুশির হাওয়া বাণিজ্য মহলেই। ঘরোয়া গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কিন্তু সেই অপরিবর্তিতই রইল। উল্লেখ্য, ঘরোয়া ১৪.২ কেজি গ্যাস সিলিন্ডার বা ৫ কেজি বা ১০ কেজি গ্যাস সিলিন্ডারের দামে কিন্তু কোনও পরিবর্তন এল না। তাই বাড়ির রান্নাঘরে নতুন বছরে কোনও স্বস্তি ফিরল না সেটা বলাই বাহুল্য। প্রায় হাজাক টাকার কাছাকাছিই ঘরোয়া রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বহাল রইল। এদিকে গত মাসেই একলাফে বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বেড়েছিল ১০০ টাকা। দাম বৃদ্ধির ফলে দিল্লিতে ১ ডিসেম্বর থেকে বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম বেড়ে হয়েছিল ২ হাজার ১০১ টাকা। ২০১২ থেকে ২০১৩ সালের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছিল বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম। সেই সময় ২ হাজার ২০০ টাকা দাম হয়েছিল বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের।
আরও পড়ুন-Kitchen Hacks: শীতকালে দ্রুত গ্যাস শেষ হওয়ার কারণ হতে পারে এগুলি, নতুন সিলিন্ডার নেওয়ার আগে পরখ করে দেখুন
আরও পড়ুন-Free LPG Connection-উজ্জ্বলা যোজনা স্কিমের আওতায় ৭৯ লাখ রান্নার গ্যাস দেওয়া হয়েছে,লোকসভায় বললেন রামেশ্বর তেলি
১ ডিসেম্বরের আগেও ১ নভেম্বর দাম বেড়েছিল বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের। সেই সময় দাম বেড়েছিল ২৬৬ টাকা। প্রসঙ্গত প্রতি মাসের প্রথম দিনেই জাতীয় তেল প্রস্তুতকারী সংস্থাকারী সংস্থাগুলো সেই মাসের ঘরোয়া ও বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম নির্ধারিত করে। তারপর সেই দাম ঘোষণা করা হয়। পরে সেই দাম বাড়বে না কমবে সেটা পরিস্থিতির ওপর নির্ভরশীল। বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কমা প্রসঙ্গে উঠে আসে পেট্রল ও ডিজেলের দামের কথাও। দীপাবলির ঠিক আগেই সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিয়ে কেন্দ্রের তরফে কমান হয়েছিল উৎপাদন শুল্ক। তারপর থেকে জ্বালানির দাম সেঞ্চুরির ঘর থেকে দীর্ঘদিন না নামলেও, করোনাকালে যেভাবে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছিল তার থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে মধ্যবিত্ত।