ব্যাঙ্ক ডিপোজিটের থেকে রেকারিং ডিপোজিট এক্ষেত্রে অনেকবেশী লাভজনক। ফিক্সড জিপোজিটে টাকার পরিমানের ওপর যে সুদ পাওয়া যায় রেকারিং ডিপোজিটের ক্ষেত্রে সেই সুদের পরিমান বেশ খানিকটা বেশী। রেকারিং পদ্ধতি কিন্তু শৃঙ্খলা পরায়ণতার বিষয়েও আপনাকে শিক্ষিত করে তোলে। রেকারিং ডিপোজিট থাকলে ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রেও সুবিধা পাওয়া যায়।
প্রতিটি চাকুরিজীবী মানুষই নিজেদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষার্থে ব্যাঙ্কের বিভিন্ন সঞ্চয় স্কিমে (Saving scheme) সঞ্চয় করে থাকেন। সেক্ষেত্রে অনেকের কাছেই ফিক্সড ডিপোজিট প্রথম পঠন্দ হয়ে ওঠে। তবে নিজের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার জন্য আপনার এমন খাতে সঞ্চয় করা উচিত যেখানে সুদের পরিমানটা বেশী হয়। কারন সুদের পরিমান বেশী হলেই আপনার হাতে স্বাভাবিকভাবেই টাকার পরিমানটাও বেশী আসবে। সেই জন্য আজ আপনাদের জানিয়ে রাখি ব্যাঙ্ক ডিপোজিটের থেকে রেকারিং ডিপোজিট (Recurring Deposit) এক্ষেত্রে অনেকবেশী লাভজনক। ফিক্সড জিপোজিটে টাকার পরিমানের ওপর যে সুদ পাওয়া যায় রেকারিং ডিপোজিটের (Recurring Deposit) ক্ষেত্রে সেই সুদের পরিমান (Interest Rate) বেশ খানিকটা বেশী হয়ে থাকে।
ব্যাঙ্ক ডিপোজিটের থেকে রেকারিং ডিপোডিট একজন চাকুরিজীবী মানুষের কাছে বেশী লাভাবান। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ে মাসিক কিস্তিতে টাকা জমা করতে হয়। ব্যাঙ্ক তার বদলে প্রতি ত্রৈমাসিকে বা বার্ষিক সুদ প্রদান করে থাকে। রেকারিং ডিপোজিটের মেয়াদ শেষ হলে রিটার্ন একেবারে নিশ্চিত। যেহেতু প্রতি মাসে কিস্তির ভিত্তিতে টাকা জমা করা যায় তাই চাকুরিজীবীদের জন্য এটি বেশী সুবিধা ও লাভজনক বলে মনে করা হয়। এর সঙ্গে আরও একটি বিষয় সম্পর্কে অবগত থাকা উচিত যে কেন ব্যাঙ্ক ডিপোজিটের থেকে রেকারিং ডিপোজিট লাভজনক।
আরও পড়ুন-স্থায়ী আমানতে সুদের হার বাড়াল আরও একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক, জেনে নিন সেই ব্যাঙ্কের সুদের হারের পরিমান
আরও পড়ুন-মাত্র ১০০ টাকা ইনভেস্ট করলেই মিলবে মোটা টাকা, জানুন কীভাবে
ফিক্সড ডিপোজিটের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমান টাকার অঙ্ক বাধ্যতামূলক। সেই পরিমান টাকা ছাড়া ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিটের অ্যাকাউন্ট খোলা যায় না। কিন্তু রেকারিং-র ক্ষেত্রে এই ধরনের কোন বাঁধন নেই। আপনি আপনার আয় বুঝে রেকারিং ডিপোজিটে টাকা জমা রাখতে পারবেন। প্রতি মাসে আপনার বেতন থেকে সহজেই সেই টাকা রেকিরিং ডিপোজিটের জন্য রাখতে পারবেন। অনেক ব্যাঙ্কে আবার রেকারিং ডিপোজিটের ক্ষেত্রে প্রতি তিন মাস অন্তর বা ছয় মাস অন্তর টাকা জমা দেওয়ারও সুযোগ পাওয়া যায়।
রেকারিং ডিপোজিটে মাসিক কিস্তিতে টাকা জমা দেওয়া আর মেয়াদ শেষে আপনার প্রাপ্য টাকা পেয়ে যাওয়া। কোনও রকম বাড়তি চাপ ছাড়াই মাসিক কিস্তিতে টাকা জমা দেওয়ার ফলে আপনার মধ্যে একটা সঞ্চেয়ের অভ্যেসও (Savings Havit) তৈরি হয়। সেই সঙ্গে মেয়াদ শেষে মোটা টাকা পাওয়ার উদ্দশ্যে বিনিয়োগকারীদের দায়িত্ববোধও তৈরি হয়।
রেকারিং পদ্ধতি কিন্তু শৃঙ্খলা পরায়ণতার বিষয়েও (Get Deciplined) আপনাকে শিক্ষিত করে তোলে। প্রতি মাসের কিস্তির টাকা জমা দেওয়ার যে লক্ষ্যমাত্রা থাকে সেই জন্য মাসের শুরুতেই কিস্তির থাকা সরিয়ে রাখা ছাড়া কোনও উপায় থাকে না। নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে চলার একটা শিক্ষা দেয় এই রেকারিংডিপোজি পদ্ধতি। সেই সঙ্গে সঞ্চয়ের একটা সুঅভ্যাসও তৈরি হয়।
রেকারিং ডিপোজিটের মাধ্যমে আপনি আপনার ছোট সন্তানদের মধ্যেও সঞ্চয়ের উপকারিতা বোধ (Get educated About Decipline) তৈরি করতে পারবেন। কারন দশ বছর অতিক্রম করলেই ব্যাঙ্কে রেকারিং ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা পাওয়া যায়। বেশিরভাগ ব্যাঙ্কই মা-বাবার বা আইনি অভিভাবকের যৌথ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ছোটদের রেকারিং অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি দেয়। এর ফলে নাবালক বা নাবালিকারাও বিনিয়োগের উপকারীতা সম্বন্ধে জ্ঞানার্জন করতে পারে।
রেকারিং ডিপোজিট থাকলে ঋণ (Get Loan easy) পাওয়ার ক্ষেত্রেও সুবিধা পাওয়া যায়। সাধারণত রেকারিং ডিপোজিটের মূল বিনিয়োগের ৯৫ শতাংশ ঋণ পাওয়া যায়। তবে উল্লেখ্য, রেকারিং ডিপোজিটের অ্যাকাউন্টেও ব্যাঙ্ক কম্পাউন্ড হারে সুদ দেয়। তবে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য এই সুদের হার কিছুটা বেশি।