পুরনো বছরের শেষে বেশ চাঙ্গাই ছিল ভারতীয় শেয়ার মার্কেট, এবার ওমিক্রনের সঙ্গে লড়তেও রয়েছে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো

২০২১ সালের শেষ সর্বোচ্চ অবস্থানের চেয়ে সেনসেক্স ৪ হাজার পয়েন্টের নীচে থাকলেও খারাপ ছিল না ভারতীয় শেয়ার মার্কেটের বাজার। শেয়ার মার্কেট বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার তৃতীয় ঢেউকে মোকাবিলা করার জন্য যথেষ্ঠ পরিকাঠামো আছে। 

Kasturi Kundu | Published : Jan 1, 2022 8:14 AM IST / Updated: Jan 01 2022, 02:37 PM IST

কোভিড আতঙ্ক(Omicron) যেন কোনওভাবেই পিছু ছাড়ছে না। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের চোখ রাঙানির পর এখন গোটা বিশ্ব জুড়ে ওমিক্রন আতঙ্ক। তবে এই সবের মাঝেই ২০২১ সালে মোটামুটি চাঙ্গা ছিল ভারতীয় শেয়ার মার্কেট(Indian Share Market)। উল্লেখ্য, সর্বোচ্চ অবস্থানের চেয়ে সেনসেক্স ৪ হাজার পয়েন্টের নীচে থাকলেও খুব একটা খারাপ ছিল না ভারতীয় শেয়ার মার্কেটের বাজার। খোশ মেজাজেই পুরনো বছরের সেনসেক্স শেষ হল সেটা বলাই বাহুল্য। বর্ষশেষের দিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর শুক্রবার ৪৫৯.৫০ পয়েন্টে উঠে ৫৮,২৫৩.৮২-র ঘরে পৌঁছে শেষ হয়েছে সেনসেক্সের সূচক। অন্যদিকে খুব একটা খারাপ ফল করেনি নিফটিও। ১৫০.১০ পয়েন্টে উঠে ১৭,৩৫৮.০৫-র ঘরে এসে থেমেছে নিফটির। শেয়ার মার্কেট বিশেষজ্ঞদের মতে, ওমিক্রন আতঙ্কে শেয়ার মার্কেটে একবার ধস নেমেছিল ঠিকই, তবে  করোনার তৃতীয় ঢেউকে মোকাবিলা করার জন্য যথেষ্ঠ পরিকাঠামো আছে বলে মত প্রকাশ করেছেন তাঁরা(Ready To Fight Against Omicron)। তাই ২০২১ সালের শেষ দিকে যে বিরাট ক্ষতির মুখে পড়েছিল শেয়ার বাজার সেই রকম ঘটনা আর ঘটবে না বলেই আশাবাদী।

২০২১ সালের প্রথম দিকে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট এরপ্রকার ওলোটপালট করে দিয়েছিল মানুষের জীবন। তবুও টিকাকরণের জেরে ওবং জিডিপি ঘুরে দাঁড়ানোর ওপর ভিত্তি করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল ভারতের শেয়ার মার্কেট। অন্যদিকে পুরনো বছরের দ্বিতীয়ভাগে বিভিন্ন সংস্থা আইপিও-র হাত ধরে মোটা টাকা উপার্জন করেছে। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই বাজারে ঢুকছে মূলধন। সেই হিসাব মত উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে ছোট ও মাঝারি মাপের শেয়ারগুলো। সব দিক বিচার বিবেচনা করে দেখলে বোঝা যাচ্ছে, শেয়ার মার্কেটের গ্রাফ এখন উত্থানের দিকে। শেয়ার মার্কেট বিশেষজ্ঞ অজিত দে বলেন, বর্তমানে ভারত, আমেরিকা সহ একাধিক বৃহৎ অর্থনীতির ভিত আগের বছরের তুলনায় অনেকটাই মজবুত হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করতে তৈরি শেয়ার মার্কেট। ওমিক্রন আতঙ্ক কমলে এবং পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে অর্থনীতির বাজার আবার পুরনো ছন্দে ফিরবে। মাথা তুলে দাঁড়াবে ভারতের আর্থিক পরিস্থিতি। এইচডিএফসি সিকিওরিটিসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ধীরজ রেলির মতে, নতুন বছরে অর্থাৎ ২০২২ সালে  বিভিন্ন দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যাঙ্কগুলো সুদের হার বাড়াতে পারে। তার ফলে সূচক খুব একটা না বাড়লেও, রিটার্নটা মোটামুটি সন্তোষজনক হবে বলেই মনে করেছেন তিনি।  

আরও পড়ুন-Share Market Fall-ওমিক্রন আতঙ্কে ধস নামল শেয়ার মার্কেটে,১০ মিনিটে কয়েক লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি বিনিয়োগকারীদের

আরও পড়ুন-Share Market News-মঙ্গলে মঙ্গল পোকর্ন লিমিটেডের, একলাফে ৭ শতাংশ শেয়ার বৃদ্ধিতে ব্রেকআউট পরিস্থিতি সংস্থার

আরও পড়ুন-Sensex Closing- শেষ বেলায় ফের চাঙ্গা হল বাজার, ৩.৫ লক্ষ কোটি টাকার ফায়দা বিনিয়োগকারীদের ঝুলিতে

এখন দেখার বিষয় আগামী দিনে ওমিক্রন পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করে ভারতীয় শেয়ার মার্কেটের গ্রাফ কতটা উর্ধ্বমুখী থাকে। আর সেই সঙ্গে শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগকারীরাও কতটা লাভবান হচ্ছে সেটাও বিবেচ্য বিষয়। 


 

Read more Articles on
Share this article
click me!