আয়করের নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য ১ কোটি টাকার জরিমানা হতে পারে ওপো এবং জিওমি-র

 

রযোগ্য মুনাফা ১৪০০ কোটি টাকার বেশী পাওয়ার জন্য সংস্থার ব্যায়ভার বহন ক্ষমতার মাপকাঠিকে অনেকটা বাড়িয়ে দেখানোর অভিযোগ আনা হয়েছে দুটি মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থার বিরুদ্ধে।

Kasturi Kundu | Published : Jan 1, 2022 1:46 PM IST

নতুন বছরের শুরুতেই কালো মেঘের ছায়া ওপো ও এবং জিওমি-এই দুটি মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থার ওপর। আয়কর দফতরের তরফে ১ কোটি টাকা জরিমানা করা হল এই দুটি মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থাকে। আয়কর দফতর সুত্রের খবর অনুযায়ী, আয়করের নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্যই জরিমানা করা হয়েছে এই দুই মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থাকে। গত সপ্তাহেই এই দুটি স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক দফতর ও ভারতে এই ফোন প্রস্তুতকারক তৃতীয় সংস্থাগুলিতে হানা দিয়েছিল আয়কর দফতরের কর্মীরা। করযোগ্য মুনাফা ১৪০০ কোটি টাকার বেশী পাওয়ার জন্য সংস্থার ব্যায়ভার বহন ক্ষমতার মাপকাঠিকে অনেকটা বাড়িয়ে দেখানোর অভিযোগ আনা হয়েছে দুটি মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থার বিরুদ্ধে। এই বিষয়টিকে সামনে রেখেই মোট ১১ টি রাজ্যে রীতিমতো তল্লাশি চালায় আয়কর বিভাগ। দিল্লি, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, গুজরাট,  রাজস্থান সহ বিভিন্ন জায়গায় ওপো ও জিওমি মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থার অফিসে হানা দেয় আয়কর দফতর।
 
বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশির পর ৩১ ডিসেম্বর একটি অফিসিয়াল বিবৃতিতে আয়কর দফতরের তরফে জানান হয়েছে, বিদেশে অবস্থিত প্রায় এক ডজন গ্রুপ অফ কোম্পানির সঙ্গে মিলে ওপো এবং জিওমির মত প্রসিদ্ধ দুটি মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থা আর্থিক দ্বিচারিতা করেছে, যার মোট অর্থের পরিমান ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।  আয়.কর বিভাগের তরফে আরও জানান হয়, এই সংস্থাগুলি আয়কর আইন, 1961 এর অধীনে নির্দেশকে অমান্য করেছে। আয়কর আইন অমান্য করার জন্য চূড়ান্ত শাস্তি হতে পারে। ১  কোটি টাকা পর্যান্ত জরিমানা হতে পারে বলে জানিয়েছে। আয়কর বিভাগ আরও জানিয়েছে, যে বিদেশী তহবিল থেকে সংস্থাটির কাছে  টাকা আসত তার উৎসও যথেষ্ঠ সন্দেহজনক। একইসঙ্গে জানিয়েছে, ঋণদাতার কোনও  আইনি গ্রহণ যোগ্যতা নেই। 

ITR filing: হাতে আর মাত্র ২ দিন, আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ কি ৩১ ডিসেম্বরের পর বাড়বে,

IT Raid: চিনা মোবাইল সংস্থার বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযান, আয়কর ফাঁকির অভিযোগ

আয়কর দফতরের তরফে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, বিদেশী তহবিল থেকে যে টাকা আসত অর্থাৎ ঋণ বাবদ যে টাকা এই দুই মোবাইল প্রস্তুকারক সংস্থা গ্রহণ করেছিল তার পরিমান প্রায় ৫ কোটি টাকা। এই সংস্থাগুলো এখন তাদের ঋণের পরিবর্তে সুদ দাবি করছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি জিওমি নিয়ে এসেছে ফোল্ডিং মোবাইল ফোন। সংস্থার সোশ্যাল সাইটে এই ফোনের ছবিও প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। তার দু-একদিনের মধ্যেই আবার সেই জিওমির বিরুদ্ধে আয়করের নিয়ম না মানার অভিযোগ আনা হয়েছে। 

Share this article
click me!