জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী দেশের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য গবেষণায় নতুন দিশা - নির্দেশের কাজ করতে জাতীয় গবেষণা ফাউন্ডেশন বা ন্যাশানাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন। সংসদে আসন্ন বাদল অধিবেশনে পেশ হবে এই বিল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন বিল (এনআরএফ), ২০২৩ সংসদে পেশে অনুমোদন দিয়েছে। অনুমোদিত বিলটি এনআরএফ প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত করবে, যা গবেষণা ও উন্নয়নের বিষয়ে প্রচার বৃদ্ধি করবে এবং ভারতে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, গবেষণা ও উন্নয়নমূলক পরীক্ষাগারগুলিতে গবেষণা ও উদ্ভাবনের সংস্কৃতির বিষয়ে উৎসাহ যোগাবে। এই বিলটি সংসদে অনুমোদনের পর এনআরএফ প্রতিষ্ঠিত হবে, জাতীয় শিক্ষা নীতি (এনইপি) – এর সুপারিশ অনুসারে একটি নিয়ামক সংস্থা দেশে বৈজ্ঞানিক গবেষণার উচ্চস্তরীয় কৌশলগত দিক নির্দেশ করবে। এর জন্য ৫ বছরে (২০২৩-২০২৮) আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা।
জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী দেশের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য গবেষণায় নতুন দিশা - নির্দেশের কাজ করতে জাতীয় গবেষণা ফাউন্ডেশন বা ন্যাশানাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন। সংসদে আসন্ন বাদল অধিবেশনে পেশ হবে এই বিল। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই অনুমোদন দিয়েছে। বিজ্ঞান., প্রযুক্তি , সমাজবিজ্ঞানের কোন ক্ষেত্রে কোনও বিষয়ে গবেষণার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার টাকা ঢালবে তা ঠিক করবে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন এই সংস্থাই।
কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রের খবর পাঁচ বছরে ৫০ হাজার কোটি টাকা ঢাকা হবে গবেষণার কাজে। যার একটি বড় অংশ অর্থাৎ ৩৬ হাজার কোটি টাকা যোগাবে বেসরকারি সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব শিল্প সংস্থা। এই ব্যবস্থাই ইঙ্গিত জেয় দেশের অর্থনীতির অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে গবেষণায় উৎসহ দেওয়া হবে। যে গবেষণায় আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়া যাবে না বা দেশের অর্থনীতির কোনও উন্নতি হবে না সেগুলিতে উতৎস কম দেওয়া হবে। এতদিন গবেষণা সংক্রান্ত বিষয়ে নির্ধারণ করত সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ বোর্ড। ২০০৮ সালে তৈরি এই সংস্থাও এবার মিশে যাবে ন্যাশানাল রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে।
বিরোধীদের আশঙ্কা ভারতীয় শিক্ষা মণ্ডলের মত আরএসএস-এর সংস্থার হাতেই থাকবে গবেষণা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের ভার। তাতে ভারতের পৌরানিক বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণায় জোর দেওয়া হবে। যদিও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানিয়েছে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও শিল্প ক্ষেত্রের উপযোগী বিষয়ে গবেষণায় জোর দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হবেন এই বোর্ডের প্রধান। বোর্ডে থাকবে ১৫-২৫ জন বিশিষ্ট গবেষক, শিক্ষাবিদ, পেশাদার। বিজ্ঞান প্রযুক্তি মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত আইআইটি আইআইএসসির মত সংস্থাগুলি গবেষণার জন্য সবথেকে বেশি অর্থ পায়। বিশ্ববিদ্যলয়গুলি মাত্র ১০ শতাংশ অর্থ পায়। এবার থেকে ছবিটা অনেকটাই বদলে যাবে।
আরও পড়ুনঃ
Weather News: সকাল থেকেই মুখভার আকাশের, আজও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে রাজ্যের এই স্থানগুলিতে
লক্ষ্মীবারে কলকাতা -সহ দেশের চার মেট্রো শহরে পেট্রোল আর ডিজেলের দাম রইল, জানতে ক্লিক করুন এখানে