ফের চাকরি দেবার নাম করে প্রতারণা রাজ্য়ে। অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল দুষ্কৃতিরা। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারে। জানা গিয়েছে, চিটফান্ডের কায়দায় বড় কোম্পানিতে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে রমরমিয়ে চলছিল প্রতারণা। দীর্ঘদিন ধরে রমরমিয়ে কোচবিহারে কারবার ফেঁদেছিল একটি চক্র। এই ঘটনায় এক চক্রের ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন, তুকতাকে প্রাণ গেল চার বছরের শিশুর, তবু কুসংস্কারেই আস্থা গোটা গ্রামের
সূত্রের খবর, অভিনব কায়দায় প্রতারণার ছক তৈরি করেছিল দুষ্কৃতিরা। ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে চাকরির প্রলোভন দেওয়া হত তাদের। সঙ্গে আরও কয়েকজন যুবককে আনার শর্তও দেওয়া হত। এরপর জানানো হত এই সিস্টেম চালু রাখলেই মিলবে মাসের মাইনে। ক্রমশ এভাবেই জাল ছড়িয়েছিল প্রতারণা চক্র। অবশেষে নদীয়ার এক যুবক এই প্রতারকদের খপ্পরে থেকে বেরিয়ে এসে অভিযোগ জানায় পুন্ডিবাড়ী থানায় । শুরু হয় তদন্ত। বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে গ্রেফতার করা হয় সাগর গারাই , গৌতম সিট সহ ৫ প্রতারককে। বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরির প্রতিশ্রুতিতে বেকার যুবকদের থেকে ২৫ হাজার টাকা করে নিত এই চক্র। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এই ঘটনায় প্রতারণার শিকার প্রায় ১ হাজার যুবক।
আরও পড়ুন, তাড়া দিচ্ছে পুর নির্বাচন, 'তড়িৎ গতিতে' সৌন্দর্যায়নের কাজ মেদিনীপুরে
উল্লেখ্য়, ফেব্রুয়ারী মাসের শুরুতেই চাকরির নামে ১০০ জনেরও বেশি প্রার্থীকে তিন কোটি টাকা প্রতারণায় রাজ্য়ের ৮ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পঞ্চসায়র থানায় দায়ের হওয়া একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে এই প্রতারণা চক্রটির সন্ধান পায় পুলিশ। সেবার তদন্তকারীরা জানিয়েছিলেন, প্রতারণার জাল সল্টলেকের বিকাশ ভবন পর্যন্ত ছড়ানো ছিল।বড় চাকরির লোভ দেখিয়ে মোটা টাকা নেওয়া হত পার্থীদের থেকে। এর বিনিময়ে ভুয়ো 'কল লেটার' দেওয়া হত চাকরি-প্রার্থীদের। তারপর কল লেটার নিয়ে চাকরি প্রার্থীরা কর্মস্থলে গেলে প্রার্থীরা জানতে পারতেন ওই কল লেটার পুরোটাই নকল। এই ঘটনায় তদন্তে নেমে পুলিশ কালীঘাট, সল্টলেক, বোড়াল, বারুইপুর, কেশপুর, তালড্যাংরা, বালুরঘাট, সন্তোষপুরে তল্লাশি চালিয়ে আট জনকে গ্রেপ্তার করে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ধৃতদের মধ্যে এক জন স্কুল শিক্ষক এবং অধ্যাপকও রয়েছেন। ফের এ রাজে উঠে এল চাকরি নামের প্রতারণার কান্ড। যার খুবই সতর্ক পুলিশ প্রশাসন।