একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিশুদের টিকাকরণ প্রসঙ্গে এইমস প্রধান বলেন, "সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ভারতীয় শিশুদের করোনা টিকাকরণ শুরু হয়ে যেতে পারে। আমাদের উচিত সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকেই শিশুদের টিকা দেওয়া।"
করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। চলতি বছরেই দেশে আছড়ে পড়বে এই ঢেউ। তাই আগে থেকেই দেশবাসীর টিকাকরণ সম্পন্ন করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু, প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য টিকার ব্যবস্থা করা হলেও এখনও পর্যন্ত বাচ্চাদের টিকাকরণ সম্ভব হয়নি। তা নিয়ে এখনও পরীক্ষা চলছে। আর তার মাঝেই এবার আশার আলো দেখালেন এইমস প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া।
আরও পড়ুন- কোভিডে মৃত্যু শূন্য কলকাতা, ভ্য়াকসিন নিতে টোকেন ব্য়বস্থা চালু করছে পুরসভা
একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিশুদের টিকাকরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ভারতীয় শিশুদের করোনা টিকাকরণ শুরু হয়ে যেতে পারে। আমাদের উচিত সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকেই শিশুদের টিকা দেওয়া।" তিনি আরও বলেন, ফাইজার, ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন এবং জাইডাসের টিকা সেপ্টেম্বরের মধ্যেই পেতে পারে শিশুরা।
এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ৪২ কোটি মানুষের করোনার টিকা নিয়েছেন। চলতি বছরের শেষেই প্রাপ্ত বয়স্কদের টিকাকরণ সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু, তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগে এখনও পর্যন্ত শিশুদের টিকাকরণ হয়নি।
আরও পড়ুন- ৪০ বছরে রেকর্ড বৃষ্টি, রায়গড়ে মৃত বেড়ে ৪৪ - ভয়াবহ বন্যায় বেহাল মহারাষ্ট্র, দেখুন
শুক্রবার মডার্নার তৈরি করোনা টিকা ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের দেওয়ার উপর অনুমোদন দিয়েছে ইউরোপ। অন্যদিকে, চলতি বছরের মে মাসে ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের জন্য ফাইজার-বায়োএনটেক করোনা টিকাকে অনুমোদন দিয়েছিল আমেরিকা।
তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগেই যাতে শিশুদের টিকাকরণ শুরু করা যায় সেই চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর তার জন্য দেশেও একাধিক টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করছে। ২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের উপর ভারত বায়োটেকের টিকা কোভ্যাক্সিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে। পটনা ও দিল্লিতে এই প্রয়োগ শুরু করেছে এইমস।
আরও পড়ুন- স্বামী রাজ কুন্দ্রার মুখোমুখি বসিয়ে জেরা শিল্পাকে, ৬ ঘণ্টা পর ছাড়া পেলেন বলি অভিনেত্রী
চলতি মাসের শুরুর দিকেই কোভিড ওয়ার্কিং গ্রুপের চেয়ারম্যান চিকিৎসক এনকে আরোরা জানিয়েছিলেন, সেপ্টেম্বর থেকেই ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের জাইডাসের টিকা দেওয়া শুরু হবে। কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়ে গিয়েছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তারপরই কোভ্য়াক্সিনের টিকা শিশুদের দেওয়া যাবে। আর আগামী বছরের শুরুতেই ২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।