মৃত্যুর সম্ভাবনা বেশি না কম, দ্বিতীয় কোভিড তরঙ্গ কি প্রথমটির থেকেও মারাত্মক

দ্বিতীয় তরঙ্গ কি প্রথমটির থেকেও বিপজ্জনক

এবার কি মৃত্যু বেশি হচ্ছে না কম

কীসের উপর নির্ভর করছে মৃত্যুর সংখ্যা

জেনে নিন করোনা দ্বিতীয় তরঙ্গে কতটা রয়েছে মৃত্যুভয়

amartya lahiri | Published : Apr 14, 2021 4:41 PM IST / Updated: Apr 16 2021, 02:31 PM IST

যে কোনও মহামারি মোকাবিলার ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়, মৃতের সংখ্যা যথাসম্ভব কম রাখা। কোভিডের ক্ষেত্রেও এটাই ছিল ভারত সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য। দেশের এই মুহূর্তে কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গ ধাক্কা মেরেছে। সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে শুরু করেছে মৃত্যুর সংখ্যাও। তবে সংক্রমণ যেমন প্রথম তরঙ্গকে ছাপিয়ে গিয়েছে, মৃত্যুর ক্ষেত্রে তা হয়নি। তবে কি দ্বিতীয় তরঙ্গের করোনা প্রথমটির মতো বিপজ্জনক নয়?

যে কোনও মহামারি মোকাবিলার ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়, মৃতের সংখ্যা যথাসম্ভব কম রাখা। কোভিডের ক্ষেত্রেও এটাই ছিল ভারত সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য। দেশের এই মুহূর্তে কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গ ধাক্কা মেরেছে। সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে শুরু করেছে মৃত্যুর সংখ্যাও। তবে সংক্রমণ যেমন প্রথম তরঙ্গকে ছাপিয়ে গিয়েছে, মৃত্যুর ক্ষেত্রে তা হয়নি। তবে কি দ্বিতীয় তরঙ্গের করোনা প্রথমটির মতো বিপজ্জনক নয়?

মঙ্গলবার সকাল অবধি ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া ১ কোটি ৩৭ লক্ষ ছাপিয়ে গিয়েছে। আর এই একি সময়ে করোনাজনিত কারণে মোট মৃত্যু হয়েছে, ১ লক্ষ ৭১ হাজারের কিছু বেশি ভারতবাসীর। সব মিলিয়ে দেশের সামগ্রিক মৃত্যুর হার বা CFR ১.২৫ শতাংশ। তবে, একেবারে শুরু থেকেই মৃত্যুর হারটা এই জায়গায় ছিল না। ২০২০ সালের জুন মাসের শেষে মৃত্যুর হার ছিল ৩ শতাংশ। স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে ভারতের মৃত্যুর হারও কমেছে। গত সেপ্টেম্বরে পৌঁছেছিল ১.৬ শতাংশে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি - এই ছয় মাস মৃত্যুর হার নেমে এসেছিল ১.১ শতাংশে।

অক্টোবরের শুরু থেকে মোট সাপ্তাহিক সংক্রমণের সংখ্যার সঙ্গে সাপ্তাহিক করোনা জনিত মৃত্যুর তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে, মার্চের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত যেভাবে নতুন সংক্রমণের সংখ্যা কমছিল বা বাড়ছিল, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়েই কমছিল বা বাড়ছিল করোনা জনিত কারণে মৃত্যুর সংখ্যাও। তবে, এরপর থেকেই  পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে মোড় নেয়। সংক্রমণ বৃদ্ধির থেকেও দ্রুত বাড়তে দেখা গিয়েছে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা। শুধু তাই নয়, ডিসেম্বরের শুরু থেকে মার্চ অবধি কোনও কোনও সপ্তাহে মৃত্যুর হার ছিল ১ শতাংশ বা তার নীচে।

তবে এই প্রবণতা বেশিদিন চলেনি। দ্বিতীয় তরঙ্গে শুরু থেকে ফের মৃত্যুর হার বাড়তে শুরু করেছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে দৈনিক করোনাজনিত মৃত্যুর  সংখ্যাতেও ভারত রেকর্ড ভেঙে দেবে।  গত দুই সপ্তাহে নতুন সংক্রমণের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৫,৪৮,৬৯৮ এবং ৯,৩৭,৪২৮। অঙ্কের হিসাবে চলতি সপ্তাহে গড়ে প্রতিদিন ১,০১৯ জনের মৃত্যু হতে পারে এবং পরের সপ্তাহে এই সংখ্যটা পৌঁছতে পারে ১,৭৪১-এ। ভারতের প্রথম তরঙ্গের সময়ও মৃত্যুর সংখ্যা এই পর্যায়ে পৌঁছায়নি। ৯ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দৈনিক মৃত্যুর গড় সংখ্যা ছিল ১,১৬৯, সেটাই ছিল সর্বোচ্চ।

আর এই মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিতে পারে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি। এমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা। কারণ চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্য়া যত বেশি হবে, ততই হাসপাতাল এবং চিকিত্সকদের বোঝা বাড়বে। অভাব দেখা দেবে ভেন্টিলেটর যন্ত্র এবং আইসিইউ বা বিচ্ছিন্ন ওয়ার্ডের শয্যার। বুধবার ভারতের চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্য়াটা ১৩ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ফলে উদ্বেগ বাড়ছে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে।

Share this article
click me!