করোনাভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় তরঙ্গে ভাটার টান
কিন্তু ক্রমে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিস
গত তিন সপ্তাহের ১৫০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে সংক্রমণ
এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২,১০৯ জনের
করোনাভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় তরঙ্গে যখন ভাটার টান দেখা যাচ্ছে, তখন ক্রমে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিস সংক্রমণ। গত তিন সপ্তাহের ১৫০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে এই সংক্রমণের সংখ্যা, পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। এই রোগে মৃত্যুর হার কিন্তু, করোনার থেকে অনেক বেশি, ৫০ শতাংশ!
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত তিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মোট ৩১,২১৬ টি কালো ছত্রাক সংক্রমণের ঘটনা নথিবদ্ধ হয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে ২,১০৯ জনের। সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার মূল কারণ হিসাবে উঠে আসছে ওষুধের ঘাটতির কথা। এই রোগের প্রধান ওষুধ অ্যামফোটেরিসিন-বি। হঠাৎ করে দেশে এই ওষুধের মারাত্মক চাহিদা তৈরি হওয়ায়, ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
করোনার মতো কালো ছত্রাক সংক্রমণের ক্ষেত্রেও সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ রাজ্য হিসাবে তালিকায় শীর্ষে আছে মহারাষ্ট্র। ৭,০৫৭ জন সংক্রামিত এবং ২,১০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় গায়ে গায়ে রয়েছে গুজরাত। সংক্রামিত ৫,৪১৮ জন, মৃত্যু হয়েছে ৩২৩ জনের। তৃতীয় স্থানে আছে রাজস্থান, সংক্রামিত ২,৯৭৬ জন। উত্তরপ্রদেশে সংক্রামিত ১,৭৪৪ জন, মৃত ১৪২ জন। দিল্লিতে সংক্রামিত ১,২০০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১২৫ জনের। ছত্তিশগড়ে এখনও পর্যন্ত কালো ছত্রাকে আক্রান্ত ২৭৬ জন, মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের।
অথচ, যদি ৩ সপ্তাহ আগের ছবিটা দেখা যায়, তাহলে বোঝা যাবে ঠিক কত হারে বেড়েছে এই সংক্রমণ। ২৫ মে মহারাষ্ট্রে সংক্রামিত ছিলেন ২,৭৭০ জন, গুজরাটে ২,৮৮৯ জন, উত্তরপ্রদেশে ৭০১ জন এবং দিল্লিতে ১১৯ জন। এই হারে বাড়তে থাকলে করোনার পর কালো ছত্রাক সংক্রমণ সামাল দেওয়াও কঠিন হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আমাদের রাজ্যের ছবিা কীরকম? বুধবার পর্যন্ত কালো ছত্রাক সংক্রমণে পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। আর এই রাজ্যে মিউকরমাইকোসিস রোগে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৪৫ জন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, এই রোগীরা কোভিড-১৯ আক্রান্ত কিংবা সবে সেরে উঠছেন।