জো বিডেন প্রশাসনের শীর্ষ চিকিৎসক উপদেষ্টা থেকে এবার দেশের সুপ্রিম কোর্ট। দৈনিক সাড়ে ৩ লক্ষ মানুষের কোভিড আক্রান্ত দেশকে লকডাউনে যাওয়ার কথাই ফের বলা হল। দিন দিন দেশজুড়ে বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ। প্রথম ঢেউটা কোনওরকমে সামলে উঠতে বা উঠতেই কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ এমনভাবে আছড়ে পড়েছে দেশে, যে হাহাকারের ছবিটাই যেন প্রতীকী হয়ে উঠেছে। কিছুতেই সংক্রমণের রাশ লাগানো সম্ভব হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন, লকডাউন হবে শেষ উপায়। এখন দেশে লকডাউন হবে না। তবে দেশের সুপ্রিম কোর্ট দেশের কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলিকে করোনা রুখতে লকডাউনে যাওয়ার পরামর্শ দিল।
আরও পড়ুন: 'কোভিড' বলে ফেরাল হাসপাতাল, হার্নিয়া ফেটে করে মৃত্যু, ২৪ ঘন্টা পরেও দেহ বেহালার বাড়িতেই
দেশের শীর্ষ আদালত এই নিয়ে সাফ জানিয়েছে, 'কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউতে বেলাগাম সংক্রমণ চলছে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ভবিষ্যতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা নিয়ে পরিকল্পনা করতে কেন্দ্র ও দেশের রাজ্য সরকারগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে ।'দিল্লি, মহারাষ্ট্র, কেরল, কর্ণাটক সহ দেশের বেশ কিছু রাজ্য অবশ্য লকডাউন জারি করেছে। তবে কেন্দ্র এখনও লকডাউনে যাওয়ার কথা ভাবছে না বলেই রিপোর্টে প্রকাশ।
আরও পড়ুন: যোগী রাজ্যে বাড়ল কার্ফুর মেয়াদ
লকডাউনে না যাওয়ার পিছনে সরকারের যুক্তি থাকে দেশের আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ার কথা। সেই কথা মেনে নিয়েই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ' লকডাউনের ফলে দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বড় প্রভাব পড়ে। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে প্রান্তিক সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে, সে ব্যাপারে আমরা অবগত। কিন্তু, লকডাউন জারি করলে প্রান্তিক মানুষরা যাতে অসুবিধায় না পড়েন সে দিকে নজর রাখতে হবে।'
ক দিন আগে মার্কিন মুলুকে জো বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ চিকিৎসা উপদেষ্টা এপিডিমিয়োলজিস্ট অ্যান্টনি ফওসি। তিনি পরামর্শ দিয়ে বলেছিলেন, ভারতে উচিত অবিলম্বে লকডাউনের পথে হাঁটা। না হলে ভারতে আগামী দিনে আরও বড় বিপদে পড়তে হবে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা মে মাসের মাঝামাঝি ভারতে করোনার প্রকোপ তুঙ্গে উঠতে পারে। এখন ভারতে দৈনিক সংক্রমণ ৩ লক্ষ ৬৫ হাজার ছাড়িয়েছে। সেটা বেড়ে ৫ লক্ষে যেতে পারে। একেই স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর এই হাল। এরপর আরও চাপ বাড়লে দেশবাসীর অবস্থা যে ভয়াবহ হতে চলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কেন্দ্র কিন্তু এখনও অপেক্ষা করতে চায়। দেশজুড়ে নয় শোনা যাচ্ছিল জেলাভিত্তিক লকডাউনের পথে হাঁটতে পারে কেন্দ্র। প্রথম দফার লকডাউনে দেশকে বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে। জীবিকা-কাজ হারান বহু মানুষ। তাই এবার অনেক সাবধানী কেন্দ্র। কিন্তু এটাও ঠিক দ্বিতীয় ঢেউয়ের গতি এত প্রবল কতদিন লকডাউন এড়িয়ে থাকা যাবে সেটাই দেখার।