কোভিশিল্ড না কোভ্যাক্সিন- কোনটি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে বেশি কার্যকর? তাই নিয়ে গোটা জুড়েই জল্পনা শুরু হয়েছে। কারণ ভারত এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে তিনটি টিকা- কোভ্যাক্সিন, কোভিশিল্ড আর স্পুটনিক ভি-কে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে। তারমধ্যে রাশিয়া থেকে স্পল্প মাত্রায় আমদানি করা হয়েছে স্পুটনিক ভি। হাতের কাছে করোনা টিকা বলতে কোভিশিল্ড আর কোভ্যাক্সিনই রয়েছে। সদ্যো প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্রে বলা হয়েছে, কোভ্যাক্সিনের থেকে বেশি মাত্রায় অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম কোভিশিল্ড।
করোনাভাইরাস ভ্যকসিন ইনডিউস্ড অ্যান্টিবডি টাইটার (COVAT) স্বাস্থ্য কর্মীদের ওপর একটি প্রাথমিক সমীক্ষা চালিয়েছিল। মূলত তাদেরকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল সমীক্ষার জন্য যাঁরা করোনাভাইরাসের টিকার দুটি ডোজই নিয়েছেন। আর সেই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে কোভিশিল্ড কোভ্যাক্সিনের তুলনায় বেশি মাত্রায় অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম। সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে অ্যান্টি স্পাইক অ্যান্টবডি থেকে সিরোপোসিটিভিটি হার প্রথম কোভিশ্লিডের প্রথম ডোজের পর থেকেই কোভ্যাক্সিনের তুলনায় বেশি। গবেষকরা জানিয়েছেন অধ্যায়নটি একটি প্রিপ্রিন্ট। এটি কোনও প্রি-রিভিউ নয়। তাই এই ক্লিনিক্যাল অনুশীলনকে মেনে চলতে হবে এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।
একই সঙ্গে গবেষকরা জানিয়েছেন কোভিশিল্ড আর কোভ্যাকিসন উভয় করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে রীতিমত কার্যকর। দুটি টিকা যথেষ্ট পরিমানে সাড়া দিতে সক্ষম হয়েছে। সমীক্ষাটি করা হয়েছে কোভিশিল্ড টিকা প্রাপ্ত ৫৫২জন স্বাস্থ্য কর্মীর (৩২৫ পুরুষ আর ২২৭ মহিলা) মধ্য। আর কোভ্যাক্সিন প্রাপ্ত ৪৫৬ জনের মধ্যে। যার মধ্য ৯৬ জন প্রথম টিকার ডোজ নিয়েছেন। সমীক্ষায় দেখা গেছে ৭৯.৩ জনের শরীরেই করোনাভাইরাসর বিরুদ্ধে কার্যকর হয়েছে টিকাগুলি। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কারও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পূর্ব ইতিহাস ছিল না। সমীক্ষার উপসংহারে বলা হয়েছে দুটি ভ্যাকসিনের প্রতিরোধ ক্ষমতা যথেষ্ট কার্যকর।