থালা বাজাবেন আমার কবরের সামনে, মোদীকে ট্যুইট করলেন চিকিৎসক, উত্তর দিলেন রাহুল

  • মিলছে না প্রয়োজনীয় মাস্ক ও গালভস
  • ক্ষোভ উগরে দিলেন তরুণী চিকিৎসক
  • সোশ্যাল মিডিয়ায়য় ট্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রীকে
  • ময়দানে নামলেন কংগ্রেস নেতা  রাহুল গান্ধী

Asianet News Bangla | Published : Mar 24, 2020 12:40 PM IST / Updated: Mar 24 2020, 06:14 PM IST

দেশে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। মোকাবিলায় অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন এদেশের চিকিৎসকরা। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে দিন-রাত কাজ করে চেলেছেন তাঁরা। তাই গত রবিবার দেশজুড়ে জনতা কারফিউয়ের দিন করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সামিল ডাক্তার, নার্স, সাফাইকর্মী সকলকে অভিনন্দন জানিতে ৫ মিনিট হাততালি দিতে ও থালা বাজাতে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু করোনা মোকিবালিয় যারা একেবারে সামনের সারিতে কাজ করছেন, সেই চিকিৎসকদের মধ্যেই তৈরি হচ্ছে অসন্তোষ।

করোনা মোকাবিলার জন্য আবশ্যক একটা মাস্ক ও হাতে গালভস। কিন্তু দেশের অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরাই সেই সামান্য সুবিধাটুকু পাচ্ছেন না। আর এই নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়া ট্যুইটারে নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন রোহতকের সরকারি হাসপাতালের এক জুনিয়র চিকিৎসক। 

চিনে ফের ঘনাচ্ছে আশঙ্কার মেঘ, উহানে নতুন করে দেখা দিয়েছে করোনা সংক্রমণ

মৃত্যু মিছিল চলছেই ইতালিতে, মাত্র ৬ কোটি মানুষের দেশে কেন মহামারীর আকার নিল করোনা

মাত্রা ৪ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ছাড়াল , এখন করোনা সংক্রমণে বিশ্বের ৪ লক্ষ মানুষ

অ্যানাস্থেসিয়া এমডি করছেন কামনা কক্কর। দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়ছে ভিড়। কিন্তু চিকিৎসকদের নিরাপত্তার জন্য সামান্য ব্যবস্থাও করেনি সরকার। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের জন্য মিলছে না এন৯৫ মাস্ক এবং গালভস। আর তাই নিয়েই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তরুণী চিকিৎসক। নিজেকে ফাস্ট্রেটেড চিকিৎসক উল্লেখ করে, কামনা লিখেছেন, ওই মাস্ক ও গালভস যেন আমার কবরে দেওয়া হয়। তালি এবং থালাও যেন বাজান হয়। ট্যুইটারে নিজের এই পোস্টটিতে মোদীকেও ট্যাগ করেছেন কামনা কক্কর।

 

 

ট্যুইটারে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ এবং অন্যান্য সরকারি আধিকারিকদেরও ট্যাগ করেন কামনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ঘণ্টার মধ্যেই যা ভাইরাল হয়ে যায়। সরকারি হাসপাতালে মেডিক্যাল কিটের অভাব সহ একাধিক অব্যবস্থার কথা তুলে ধরতে থাকেন নেটিজেনরা।

কামনা কক্করের সমর্থনে ট্যুইট করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। রাহুল লেখেন, " আমি দুঃখিত, কারণ পুরো বিষয়টিকে এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমাদের কাছে প্রস্তুতির সময় ছিল। আমাদের এই হুমকিকে আরও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত ছিল ও ভালভাবে প্রস্তুতি নেওয়া দরকার ছিল।"

 

জানা যাচ্ছে, মাস্ক না থাকার কারণে সোমবার ধনবন্তি অ্যাপেক্স ট্রমা সেন্টারের একাধিক চিকিৎসক রোগি দেখতে অস্বীকার করেন। বন্ধ হয়ে যায় হাসপাতালের জরুরি পরিষেবা। শেষপর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পিজিআইএমএসের ডেপুটি মেডিক্যাল সুপারিন্টেনডেন্ট ডঃ সন্দীপ জানান, আপতকালীন বিভাগ ছাড়াও সার্জারি এবং অর্থোপেডিক বিভাগের অনেক চিকিসকই এন ৯৫ মাস্ক না পেয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। তবে প্রটোকল অনুযায়ী, করোনা আক্রান্ত রোগীদের সরাসরি কাছে থাকলে তবেই এন ৯৫ মাস্কের প্রয়োজন হয়। 

Share this article
click me!