করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্বকেই হাতিয়ার করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। একই পথে চলে লকডাউনকে পুরোপুরি কার্যকর করতে বদ্ধ পরিকর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এই অবস্থায় আরও আরও একমার সামনে এল ভারতের রাজধানীতে দরিদ্র মানুষের অসহায়তার ছবি। মহামারীর এই ভয়ঙ্কর সময়ই টানা চার দিন চার তার খোলা আকাশের নিচেই কাটাতে হয়েছিল ৪০০ থেকে ৫০০ জন মানুষকে। আর সেই অসহায় মানুষের ভিড়ে যেমন ছিল শিশু, তেমনই ছিল মহিলা ও বয়স্করা।
এক অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গিয়েছেন তাঁদের আশ্রয়স্থান। সেই আবাসস্থল বসবাসেরও অযোগ্য হয়ে পড়ে। কিন্তু মহামারী আর লকডাউনের এই সময় কোথায় যাবেন তাঁরা? কী খাবেন? এই সব ভেবে দিশেহারা হয়েই আশ্রয় নিয়েছিলেন যমুনা নদীর তীরে। কাশ্মীরা ঘাট এলাকায় যমুনার তীরে একটি ফ্লাই ওভারের তলায়তেই কেটেছে রাতদিন। দিনে মাত্র এক বেলার জন্য খাবারের বাক্স পেয়েছেন কেউ কেউ। তাঁদের কথায় আজ বিপন্ন তাঁদের জীবিকা। অন্ন সংস্থানও ঠিক মত হয়না। তাই এই অবস্থায় একে অপরকে ছেড়ে যেতে তাঁরা নারাজ ছিলেন। তিন দিন পর বুধবারই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল তাঁদের সরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন। সেই মত দিল্লি পুলিশ এসে তাঁদের একাধিক আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠিয়ে দিয়েছে বলেই সরকারি সূত্রের খবর।