করোনার দ্বিতীয় শিখর, ফের দেখা দিতে পারে দেশব্যাপী মহামারি - সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী

মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনার দ্বিতীয় শিখর

স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

দেশের সব মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করলেন তিনি

মোদীর মতে আত্মবিশ্বাসই হচ্ছে অসাবধানতার কারণ

amartya lahiri | Published : Mar 17, 2021 11:01 AM IST / Updated: Mar 17 2021, 04:36 PM IST

ভ্যাকসিনের আগমন, গত নভেম্বর থেকে ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দাপট কমা এবং ৫ রাজ্যের বিধাবনসভা ভোট - সব মিলিয়ে, বিশেষ করে ভোট হতে যাওয়া রাজ্যগুলিতে মানুষ একপ্রকার ভুলতেই বসেছে করোনার বিপদ। কিন্তু, ভারতের অবস্থা যে বিশেষ ভালো নয়, বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ থেকেই তার স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া গেল। এতদিন বিজেপি নেতারা ভারতের কোভিড মোকাবিলার সাফল্য নিয়ে বরাই করলেও, এদিন প্রধানমন্ত্রী একে 'আপেক্ষিক সাফল্য' বলেছেন।

দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের (শুধু যোগ দেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) সতর্ক করে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড মোকাবিলায় ভারতের 'আপেক্ষিক সাফল্য' যেন 'অসাবধানতার' কারণ না হয়। টেস্ট অর্থাৎ 'পরীক্ষা করা',  ট্র্যাক অর্থাৎ আক্রান্তদের খুঁজে বের করা এবং ট্রেস অর্থাৎ আক্রান্তরা কাদের কাদের সংস্পর্শে এসেছেন তাদের সন্ধান - ফের এই তিন বিষয়ের উপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এভাবেই ভারতে করোনাভাইরাসের 'দ্বিতীয় শিখর'এর উত্থান রুখে দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি জানান দেশের কয়েকটি ফের করোনার দাপট বাড়ছে। মোট ৭০ টি জেলায় দেড়গুণ হারে বাড়ছে সংক্রমণ। এই দ্বিতীয় ঢেউকে আটকাতে না পারলে ফের জাতীয় বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে দেশ, বলে সতর্ক করেছেন মোদী। তাই রাজ্যগুলিকে দ্রুত ও সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে। করোনার বিরুদ্ধে প্রথম লড়াইয়ে যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে, সেই আত্মবিশ্বাস থেকে অসতর্ক  হয়ে পড়লে চলবে না। তবে জনগণের মধ্যে অহেতুক আতঙ্ক যাতে তৈরি না হয়, সেই দিকেও নজর দেওয়ার কথা বলেছেন মোদী।

প্রধানমন্ত্রী আরও  জানিয়েছেন, গবেষকদের মতে এখন কোভিড বেশই ছড়াচ্ছে ছোট শহরগুলিতেই। প্রথম তরঙ্গের সময়, চোট শহরে বেশি সংক্রমণ ছড়ায়নি। তাই গ্রামীন বারতে মহামারি সেভাবে পৌঁছতে পারেনি। আর সেই কারণেই প্রথমবার সহজে মোকাবিলা করা গিয়েচিল করোনার। কিন্তু, এবার যদি গ্রামে দারুণভাবে করোনা ছড়াতে থাকে, তাহলে তা মোকাবিলা করার মতো পরিকাঠামোর অভাব পড়তে পারে।

সেইসঙ্গে বেশ কয়েকটি রাজ্যে ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট বেশি করা হচ্চে বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রবণতার বদল দরকার বলে সাফ জানান তিনি। প্রতিটি রাজ্যেই মোট করোনা পরীক্ষার অন্তত ৭০ শতাংশ আরটি-পিসিআর পরীক্ষা পদ্ধতিতে করতে হবে। অন্যদিকে কোভিড টিকাকরণ অভিযানের গতি সন্তোষজনক বলেই দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তবে, তাঁর মতে কয়েকটি রাজ্য ১০ শতাংশের বেশি ভ্যাকসিন অপচয় হয়েছে, যা কমাতে হবে। এটা কেন হচ্ছে তা রাজ্যস্তরে বিবেচনা করতে হবে।

Share this article
click me!