ভারতে করোনাভাইরাস মহামারীর তৃতীয় তরঙ্গ (COVID-19 Third Wave in India) শুরু হয়ে গিয়েছে, স্পষ্ট জানালেন কোভিড-১৯ টাস্ক ফোর্সের প্রধান ডাঃ এন কে অরোরা (Dr. NK Arora)। কতটা আতঙ্কের?
আর কোনও জল্পনা নয়, ভারতে করোনাভাইরাস মহামারীর তৃতীয় তরঙ্গ (COVID-19 Third Wave in India) শুরু হয়ে গিয়েছে। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, টিকাকরণের বিষয়ে ভারতের জাতীয় প্রযুক্তিগত উপদেষ্টা গোষ্ঠী (NTAGI) বা কোভিড-১৯ টাস্ক ফোর্সের প্রধান ডাঃ এন কে অরোরা (Dr. NK Arora)। তবে, করোনভাইরাস সংক্রমণের এই তীব্র বৃদ্ধির মধ্যেও, তিনি বলছেন, আতঙ্কিত হওয়ার বা প্যানিক করার কোনও কারণ নেই। কারণ, তাঁর দাবি, আগের দুটি তরঙ্গের তুলনায় এখন দেশ করোনা মোকাবিলার জন্য অনেক বেশি সুসজ্জিত। তিনি আরও জানিয়েছেন, ভারতে অতি দ্রুত করোনার ডেল্টা ভেরিয়েন্টের (Delta Variant) জায়গা নিচ্ছে ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট (Omicron Variant)।
ডা. এনকে অরোরা বলেছেন, গত এক সপ্তাহ ধরে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের ২৩ টি রাজ্যে ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। সুতরাং, ভারতে যে তৃতীয় তরঙ্গ আছড়ে পড়েছে এই বিষয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই। তবে, তা সত্ত্বেও ভারতীয়দের আতঙ্কিত হওয়ার কোনও দরকার নেই, আশ্বাস দিচ্ছেন করোনা টাস্ক ফোর্সের প্রধান।
আরও পড়ুন - Omicron Natural Vaccine: ওমিক্রন কি আসলে প্রাকৃতিক করোনা টিকা, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
আরও পড়ুন - কংগ্রেসের ম্যারাথনে পদদলিত ছাত্রীরা, COVID-19 মহামারির মধ্যে ভয়ঙ্কর দৃশ্য - দেখুন ভিডিও
কেন আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই বলছেন ভারতের এই শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ? তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই দেশের একটা বড় অংশের মানুষ একবার করে অন্তত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে গিয়েছেন। এছাড়া, এই ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রাপ্তবয়স্কদের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে ভারত দরুণ ভাল কাজ করছে। প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৯০ শতাংশ অন্তত ১ টি করে ডোজ পেয়েছেন, ২ টি করে ডোজ পেয়েছেন ৬৫ শতাংশ। ৩ জানুয়ারি থেকে ১৫-১৮ বছর বয়সগোষ্ঠীর টিকাকরণও খুব ভাল মেজাজে শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে গত ছয় মাসে, দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করতে ব্যাপক প্রচেষ্টা ও বিনিয়োগ করা হয়েছে। এই সকল কারণের জন্যই, দেশে করোনার তৃতীয় তরঙ্গ আছড়ে পড়লেও ভয়ের কিছু নেই বলেই দাবি করছেন এনকে অরোরা।
করোনা টাস্ক ফোর্সের প্রধান আরও জানিয়েছেন, ক্রমে ভারতে করোনার ডেল্টা ভেরিয়েন্টের জায়গায় ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের প্রাধান্যই বেশি দেখা যাবে। তিনি জানান, গত ৪-৫ মাস ধরে ডেল্টা ভেরিয়েন্টের জায়গা নিতে দেখা যাচ্ছিল ডেল্টা প্লাস ভেরিয়েন্টকে। গত নভেম্বর মাসে গেশের মোট করোনা সংক্রমণের ৫০ শতাংশ ছিল ডেল্টা ভেরিয়েন্ট, বাকি ৫০ শতাংশ ডেল্টা প্লাস। গত এক সপ্তাহে আবার নতুন যে করোনা সংক্রমণের ঘটনা নথিভুক্ত করা হচ্ছে, তার মধ্যে ওমিক্রন সংক্রমণের ঘটনা বাড়তে শুরু করেছে। দিল্লিতে নতুন করোনা সংক্রমণের মধ্যে যেমন ৮৪ শতাংশই ওমিক্রন।