প্রবলবেগে ঘূর্ণী ঝ়় তাউতে এগিয়ে যাচ্ছে গুজরাত উপকূলের দিকে। তারই জেরে এখন থেকেই কেরল, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটাকসব বিস্তীর্ণ এলাকায় শুরু হয়েছে প্রবল ঝড় বৃষ্টি। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগের কারণে আগামিকালই টিকাকরণ বন্ধ থাকবে থাকবে মুম্বইয়ে। তেমনই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বৃহন্মুম্বই পুরনিগম। প্রকৃতির এই তাণ্ডবের কারণে এই নিয়ে পরপর টানা তিন দিন টিকাকর্মসূচি স্থগিত রেখেছে স্থানীয় পুরসভা। পুর কমিশনার ইকবাল সিং চাহল জানিয়েছেন মঙ্গল বুধ ও বৃহস্পতিবার আবার টিকাকর্মসূচি শুরু হবে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে ঘূর্ণীঝড় তাউতে অত্যন্ত মারাত্মক সাইক্লোন। স্থলভাগের দিকে এটি যত এগিয়ে আসছে ততই শক্তি বাড়াচ্ছে। রবিবা সন্ধ্যে একটি গোয়া উপকূল সংলগ্ন এলাকা পার করেছে। ১৭ মে অর্থাৎ সোমবার সন্ধ্যায় এটি গুজরাট উপকূলে পৌঁছাবে। পরের দিন অর্থাৎ ১৮ মে ( মঙ্গলবার ) এটি ভোরের দিকে ভাওয়ানগর জেলার পোরবন্দরে ও মহুয়ার মধ্যে আছড়তে পড়তে পারে। এই সাইক্লোনের প্রভাবে ইতিমধ্যেই সংলগ্ন এলাকায় শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি। ঘূর্ণী ঝড়ের কারণে এখনও পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রচুর ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অধিকাংশ এলাকায় উপকূল সংলগ্ন বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মুম্বইয়ের এক প্রশাসনিক আধিকর্তা জানিয়েছেন, উপকূলবর্তী একটি কোভিড কেয়ার সেন্টার থেকে ইতিমধ্যেই ৫৮০ জন করোনা আক্রান্তকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘূর্ণঝড় এই এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে বলেও মনে করা হয়েছে। চাহল বলেছেন কেন্দ্রীয় সরকার কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের মধ্যে ১২-১৬ সপ্তাহের অন্তর রাখতে বলেছে।সেই কারণেই এইখ স্বাস্থ্য কর্মী ও ফ্রন্টলাইন কর্মী ছাড়া অন্য কাউকে টিকা দেওয়া হবে না। গত সপ্তাহেই এই সংস্থাটি জানিয়েছে ৬০ পবছরে উর্ধ্বে যেসব নাগরিক কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন তাঁরা চলতি সপ্তাহে টিকা নিতে পারেন।