হদিশ মিলল করোনার নতুন প্রজাতির, কতটা মারাত্মক 'ডেল্টা প্লাস'

  • ক্রমশই রূপ বদলাচ্ছে করোনার ডেল্টা প্রজাতি
  • প্রজাতির একটি নতুন রূপের হদিশ পেয়েছেন গবেষকরা
  • তার নাম দেওয়া হয়েছে ডেল্টা প্লাস' বা 'এওয়াই.১'
  • এই প্রজাতিকে এখনও উদ্বেগজনক বলছেন না বিজ্ঞানীরা

Asianet News Bangla | Published : Jun 15, 2021 10:55 AM IST

ক্রমশই রূপ বদলাচ্ছে করোনার ডেল্টা প্রজাতি। এই প্রজাতির একটি নতুন রূপের হদিশ পেয়েছেন গবেষকরা। তার নাম দেওয়া হয়েছে 'ডেল্টা প্লাস' বা 'এওয়াই.১'। স্পাইক প্রোটিনে পরিবর্তন করে সেই স্ট্রেনই এখন 'ডেল্টা প্লাস'। জিনোম সিকোয়েন্সিয়ে দেখা গিয়েছে, কে৪১৭এন মিউটেশন হয়েছে ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেনের। তবে এই প্রজাতিকে এখনও উদ্বেগজনক বলছেন না বিজ্ঞানীরা।

আরও পড়ুন- কোভিড ১৯ টিকা নিয়ে প্রথম মৃত্যু দেশে, সামনে এল সরকারি ভ্যাকসিন কমিটির রিপোর্ট

তার কারণ হিসেবে গবেষকরা জানিয়েছেন, ইউরোপ, আমেরিকায় প্রভাব বিস্তার করলেও আপাতত ভারতে দ্রুত ছড়াতে শুরু করেনি এই প্রজাতি। তবে চিন্তার বিষয়, এই প্রজাতির কাছে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি রুখে দেওয়ার ক্ষমতা থাকতে পারে। অর্থাৎ অ্যান্টিবডি ককটেলকে আটকে দিতে পারে এটি। দিল্লির সিএসআইআর ইনস্টিটিউট অব জিনোমিকস অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজির বিজ্ঞানী বিনোদ স্কারিয়া জানিয়েছেন, নয়া এই প্রজাতি মিউটেশনের ফলে মানবদেহে প্রবেশের পথ আরও সুগম করেছে। ৭ জুন পর্যন্ত ৬ জিনোমে এই প্রজাতি দেখা গিয়েছে। ইংল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, আপাতত ৬৩ জিনোমে ডেল্টার এই নয়া মিউটেশন ধরা পড়েছে।

দেশের মধ্যে প্রথমবার করোনার ডেল্টা প্রজাতির হদিশ মিলেছিল ভারতে। যা বি.১.৬১৭.২ নামেও পরিচিত। আর দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউইয়ের নেপথ্যে রয়েছে এই প্রজাতি। তবে ডেল্টা প্লাস নিয়ে এখনও পর্যন্ত তেমন বেশি জানা যায়নি। এমনকী, এই প্রজাতি কতটা সংক্রামক ও কত দ্রুত হারে ছড়ায় সেই ইঙ্গিত এখনও পাওয়া যায়নি। এ প্রসঙ্গে সিএসআইআর আইজিআইবি-র ডিরেক্টর চিকিৎসক অনুরাগ আগরওয়াল জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের প্লাজমা নিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে হবে ডেল্টার পরিবর্তিত রূপের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটা গড়ে তুলতে সক্ষম হচ্ছে।

আরও পড়ুন- স্তিমিত করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ - ৭৫ দিন পর সর্বনিম্ন দৈনিক নতুন সংক্রমণ, কমছে মৃত্যুর সংখ্য়াও

দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপটে নাজেহাল হয়ে পড়েছিলেন দেশবাসী। অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়েছিল ওই সংক্রমণ। প্রতিদিনই বাড়ছিল আক্রান্তের সংখ্যা। করোনায় আক্রান্ত হয়ে অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে। তবে এখন সংক্রমণের পরিমাণ খুবই কম। করোনা সংক্রমণের উপর রাশ টানতে যে সব রাজ্যে বিধিনিষেধ জারি হয়েছিল তার মধ্যে বেশিরভাগ রাজ্যই আনলকের পথে হাঁটতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি। তবে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। ওই ঢেউয়ে শিশুদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি। তাই তার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে এখনই শিশুদের উপর করোনার টিকা প্রয়োগ কতটা সুরক্ষিত হবে তা জানতে পরীক্ষামূলক ট্রায়াল শুরু হচ্ছে দেশে। 

Share this article
click me!