করোনা চিকিৎসার কোনও নির্দিষ্ট পদ্ধতি এখনও পর্যন্ত সামনে আসেনি। গত দু'বছর ধরে পরীক্ষামূলকভাবেই প্রয়োগ করা হচ্ছে ওষুধ। আর তার মধ্যে একাধিকবার চরিত্র বদলাচ্ছে করোনাভাইরাস।
অনূর্ধ্ব ১৮ বছর বয়সীদের দেওয়া যাবে না রেমডেসিভির (Remdesivir), মলনুপিরাভির (Molnupiravir), অ্যান্টিবডি ককটেল (Antibody Cocktail)। করোনা চিকিৎসায় (Corona Treatment) ফের নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করল কেন্দ্র (Central Government)। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, অক্সিজেনের মাত্রা ৯৩ শতাংশের নিচে নামলেই তাদের ভর্তি করতে হবে হাসপাতালে। কিন্তু, মৃদু উপসর্গ থাকলে ব্যবহার করা যাবে না স্টেরয়েড।
করোনা চিকিৎসার কোনও নির্দিষ্ট পদ্ধতি এখনও পর্যন্ত সামনে আসেনি। গত দু'বছর ধরে পরীক্ষামূলকভাবেই প্রয়োগ করা হচ্ছে ওষুধ। আর তার মধ্যে একাধিকবার চরিত্র বদলাচ্ছে করোনাভাইরাস। সেই কারণেই বার বার করোনা চিকিৎসার গাইলাইনে পরিবর্তন করা হচ্ছে। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে জটিলতা কম থাকে তাই ওষুধের ব্য়বহারও কম হওয়া উচিত বলেই মনে করছেন গবেষকরা। আর সেই কারণেই শিশুদের করোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রে নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সেখানে অ্যান্টিভাইরাল বা মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি প্রয়োগ না করার কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন- উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা পরিস্থিতি, উত্তরপ্রদেশ-সহ ৬ রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল
নির্দেশিকায় স্টেরয়েড ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, একমাত্র গুরুতর অসুস্থ হলে হাসপাতালে ভর্তি করার পর শিশুদের স্টেরয়েড প্রয়োগ করা যেতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, সঠিক সময় যেন স্টেরয়েডের সঠিক মাত্রা দেওয়া হয়। পাশাপাশি করোনা মুক্ত হওয়ার পর ২ মাস পর্যবেক্ষণে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাধারণত শিশুদের শরীরে করোনার তেমন উপসর্গ দেখা যায় না। কিন্তু, তারা সেরে ওঠার পর শুরু হয় সমস্যা। সেই সময় তাদের বেশি করে নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে নয়া গাইডলাইনে। তবে শুধুমাত্র শারীরিক নয়, ওই সময় তাদের মানসিক সমস্যাও দেখা যায়। সেই কারণে সেদিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ওমিক্রনের সঙ্গে ডেল্টার তুলনা, গবেষণা বলছে মূল পার্থক্য ভাইরাল লোডে
আরও পড়ুন- করোনার টিকা নিতে 'ভয়', স্বাস্থ্যকর্মীদের দেখেই সোজা চড়ে বসলেন গাছের ডালে
দেশে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনার সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের (Ministry of Health & Family Welfare) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় (Corona) আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ১৭ হাজার ৫৩২ জন। গতকাল দৈনিক আক্রান্তের (Daily Case) সংখ্যা ছিল ২ লক্ষ ৮২ হাজার ৯৭০। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৯১ জনের। গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৪৪১। দেশে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ কোটি ৮২ লক্ষ ১৮ হাজার ৭৭৩ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৮৭ হাজার ৬৯৩ জনের। দৈনিক পজিটিভিটি রেট (Positivity Rate) বেড়ে হয়েছে ১৬.৪১ শতাংশ। দেশে হু হু করে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও। এই মুহূর্তে ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ২৮৭। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩২৬ জন। যদিও চিকিৎসকদের একাংশের আশা, আর সপ্তাহখানেকের মধ্যেই নিম্নমুখী হবে সংক্রমণের গ্রাফ।