রাজ্যে দৈনিক আক্রান্ত এক সপ্তাহে ৩১ থেকে ১৩৯ । সংক্রমণের হার বাড়ল ২ শতাংশ। গত শনিবার যেখানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র ৩১ জন, এখন সেখানে স্বাস্থ্য দফতরের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে, দেড়শোর কাছাকাছি।
রাজ্যে দৈনিক আক্রান্ত এক সপ্তাহে ৩১ থেকে ১৩৯ । সংক্রমণের হার বাড়ল ২ শতাংশ। গত শনিবার যেখানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র ৩১ জন, এখন সেখানে স্বাস্থ্য দফতরের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে, দেড়শোর কাছাকাছি। প্রায় ৩ মাস পর শুক্রবার ১০০ ছুঁয়েছিল কোভিড সংক্রমণ রাজ্যে। গত ২৪ ঘন্টায় তা ফের বাড়ল। তবে গত ২৪ ঘন্টায় কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়নি।
স্বাস্থ্য দফতরের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৩৯। চলতি বছরের শুরু যে কোভিডের ঢেউ আছড়ে পড়তে দেখা গিয়েছিল, তা ক্রমশ নেমে এলেও পরবর্তীতে কমবেশি ওঠা নামা করে। তবে সেই ওঠা নামার সংখ্যাটা ছিল ১০০-র নিচের দিকেই। কিন্তু রাজ্যে দৈনিক আক্রান্ত এক সপ্তাহে লাফিয়ে বেড়ে ৩১ থেকে ১৩৯ । যেটা উদ্বেগ বাড়াল স্বাস্থ্য দফতরকে। প্রায় ৩ মাস পর শুক্রবার সেই সংখ্যাটা হয় ১০৪ এবং গত ২৪ ঘন্টায় তা ফের বেড়ে দাঁড়ায় ১৩৯। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত কোভিডে সংক্রমিত হয়েছেন ২০ লক্ষ ২০ হাজার ১৭৩ জন।রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের হার গত ৪ দিন ধরে ১ শতাংশের বেশি। গত ২৪ ঘন্টায় তা বেড়ে হয় ১.৮২ শতাংশ। রাজ্যে বর্তমান অ্যাক্টিভ রোগী সংখ্যা ৬৬২ জন।
আরও পড়ুন, 'মমতার মন্তব্য উস্কানিমূলক, কেন্দ্রীয় বাহিনী নামাতে হবে', হাওড়া ইস্যুতে বিস্ফোরক সুকান্ত
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, করোনার এই প্রজাতিটি সম্ভবত ডেলটা গোত্রের। যে প্রজাতি সংক্রমণ বাড়ালেও উপস্বর্গ কম। অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়ছে না। মৃত্য়ুও নেই বললেই চলে। তথ্য বলছে দেশে গত ২৪ ঘন্টা ২৫ জনের কোভিডে মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা গোটা দেশে ৭ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত তিনবারের মতো এবারেও সংক্রমণের শীর্ষে কলকাতা।
আরও পড়ুন, আজ কি ঝাপিয়ে বৃষ্টি কলকাতায় ? বর্ষা আসছে দক্ষিণবঙ্গে
অপরদিকে রাজ্যে এহেন পরিস্থিতিতে জরুরী বৈঠক করেছে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ। ওই বৈঠকে ঠিক হয়েছে, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের সময় যেসকল সংক্রমণে দাপট সবচেয়ে বেশি ছিল, সেগুলিকে হটপ্সট হিসাবে চিহ্নিত করা কড়া নজরদারি চালানো হবে। নিউআলিপুর , কসবা, বড়বাজার, কালীঘাট, ভবানীপুর, শিয়ালদহ, যাদবপুর, মুকুন্দপুর, গড়িয়ার মতো জায়গা থেকে শুরু করেই করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা শহরের অন্য জায়গার থেকে বেশি। ওই সব এলাকায় যাতে মানুষ মাস্ক পড়েন, বাজারগুলিতে যাচে দূরত্ববিধি বজায় থাকে, এর জন্য প্রচার চালানো হবে।