করোনার রিপোর্ট ঘিরে বিভ্রান্তি, তমলুকে বিনা চিকিত্সায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ

করোনা রিপোর্ট পজিটিভ না নেগেটিভ
সরকারি হাসপাতালের রিপোর্ট ঘিরে বিভ্রান্তি
বিনা চিকিত্সায় রোগী মৃত্য়ুর অভিযোগ
কাঠগড়ায় রাজ্য় স্বাস্থ্য় দফতর
 

Aloke Kumar | Published : Aug 18, 2020 4:23 PM IST / Updated: Aug 18 2020, 09:55 PM IST

সঞ্জীব কুমার দুবে, পূর্ব মেদিনীপুর- করোনা চিকিত্সা সংক্রান্ত দুটোয় সরকারি স্বাস্থ্য় কেন্দ্রের রিপোর্ট। তার মধ্য়ে প্রথম রিপোর্ট রোগী করোনা পজিটিভ। তার জেরে কার্যত সরকারি হাসপাতালে বিনা চিকিত্সায় রোগী মৃত্য়ুর অভিযোগ। এমনকি, মৃত রোগীর পরিবার হয়রানি করার অভিযোগ সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। অন্য় রিপোর্ট আসে রাজ্য় স্বাস্থ্য দফতর থেকে। দেরিতে হলেও সেখানে উল্লেখ করোনা নেগেটিভ। এই দুই জাঁতাকলে কার্যত বিভ্রান্ত মৃত রোগীর পরিবার। কী কারণে মৃত্যু রোগীর? উত্তর এখনও অজানা মৃত রোগীর পরিজনদের কাছে।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক জেলা হাসপাতালে। পাঁশকুড়ার বাসিন্দা মৃত দীপক মাইতির পরিবারের দাবি, অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে রক্তের নুমনা পরীক্ষায় করোনা রিপোর্ট পজিটিভ বলে উল্লেখ করে তমলুক জেলা হাসপাতাল। সেখানে তাঁকে রেফার করা হয় পাঁশকুড়ার বড় মা হাসপাতালে। অভিযোগ, সেখানে আইসিইউতে বেড না পেয়ে কার্যত বিনা চিকিত্সায় মৃত্যু হয় দীপক মাইতির। 

গাফিলতির এখানেই শেষ নয়, দীপক মাইতির মৃত্য়ুর পর তাঁর পরিবারকে হয়রানির শিকার হতে হয় বলেও অভিযোগ। মৃতদেহ সত্কারের জন্য় চূড়ান্ত দুর্ভোগের শিকার হন মৃত রোগীর পরিবার। করোনা রিপোর্ট পজিটিভ উল্লেখ থাকার কারণে কারও সাহায্য় পাননি মৃত রোগীর পরিজনরা।

এরপরই, কলকাতা থেকে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট হাতে পায় মৃত দীপক মাইতির পরিবার। সেখানে উল্লেখ, করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ। দুটিই সরকারি রিপোর্ট। অথচ আলাদা কেন? প্রথমবার পজিটিভ, দ্বিতীয়বারের রিপোর্ট নেগেটিভ ? বিভ্রান্তিতে রোগীর পরিবার। বিনা চিকিত্সায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।

অন্যদিকে, জেলা মুখ্য় স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই চন্দ্র মণ্ডল জানিয়েছেন, র্যাপিড টেস্ট থেকে পাওয়া তথ্য় অনুযায়ী রোগীর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। যদিও, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এহেন আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মৃত রোগীর পরিজনরা। প্রশ্ন তুলেছেন করোনা আবহে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার আসল চরিত্র নিয়ে।
 

Share this article
click me!