সরকারি স্কুলে হল এবার আস্ত কোভিড কেয়ার ইউনিট। শহরে আরও এক কোভিড কেয়ার ইউনিটের ইতিমধ্যেই দরজা খুলে গিয়েছে। এটি মূলত শরৎবোস রোডে অবস্থিত। এনজিও নগনাট ফাউন্ডেশন এবং কলকাতা পুরসভার একটি যৌথ উদ্যোগে রাজ্যে প্রথমবারের মতো সাউথ সাব-আরবান স্কুলে এর শুভ সূচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন, কোভিড চিকিৎসায় অগ্রগতি, ইসলামপুরের হাসপাতালে অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসাচ্ছে স্বাস্থ্য দপ্তর
সাউথ সাব-আরবান স্কুলের কোভিড কেয়ার ইউনিটে থাকছে ৫০ শয্যা। এটি মূলত কলকাতা পুরসভার তত্ত্বাবধানে বিধায়ক দেবাশী কুমারের পরিচালনায় এনজিওর যৌথ উদ্য়োগে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এখানে সপ্তাহের সাতদিনই চব্বিশ ঘন্টা করে চিকিৎসক এবং নার্সরা উপস্থিত থাকবেন। বাইপ্য়াপ সহ হাই-প্রেশার অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থাও এখানে রয়েছে। রামকৃষ্ণ সেবা প্রতিষ্ঠান এখানে ক্রিটিক্যাল কেয়ারের পরিষেবা প্রদান করবে। শিশু মঙ্গল সেবা প্রত্যাশনের সেক্রেটারি মহারাজ, বিধায়ক দেবাশীষ কুমার, রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং প্রতিমন্ত্রী শ্রীমতি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ৩ জুন সকাল সাড়ে ১১ টায় এই কোভিড কেয়ার ইউনিটের উদ্বোধন করেছেন। বিধায়ক দেবাশিস কুমার জানিয়েছেন, যারা কোভিড পরিস্থিতিতে হাসপাতালের বেড পাচ্ছেন না, তাঁদের জন্য পাশে আছে এই কোভিড কেয়ার ইউনিট।
আরও পড়ুন, কলকাতায় ১ হাজারের নীচে নামল দৈনিক সংক্রমণ, কোভিডে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগণা
উল্লেখ্য, ২০১৪ এনজিওটি প্রতিষ্ঠান করেন দেবজানি গুহ এবং তাঁর মেয়ে দেবিপ্রিয়া গুহ। এরা মূলত স্তন্যদানকারী এবং গর্ভবতী মহিলাদের এবং প্রবীণ নাগরিকদের স্বাস্থ্যের জন্য কাজ করে।মহামারীর শুরু থেকেই দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিভিন্ন গ্রামে, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে নিরলসভাবে এরা পুরো সময় কাজ করে চলেছে। পাশাপাশি রান্না করা খাবার, ওষুধ, অক্সিমিটার, বাষ্প মেশিন এবং কাউন্সেলিংয়ের সাহায্যে ২৫০ কোভিড আক্রান্তদের সহায়তা করে চলেছে এই এনজিও। প্রসঙ্গত, রাজ্যে মার্চ মাসের পর থেকে আচমকাই বেড়ে যায় কোভিড সংক্রমণ। যেখানে ভোট শুরু আগে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা ১০০০ মধ্য়ে ওঠা নামা করত, সেখানে ভোট শেষ হতেই প্রতিদিনের আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে ১৫ হাজারেরও উপরে। এহেন কঠিন পরিস্থিতি রাজ্যের বেডের ঘাটতি শুরু হয়। এরপরেই ভোটের ফলপ্রকাশের দ্বিতীয় সপ্তাহের পর কার্যত লকডাউন ঘোষণা করে মমতার সরকার। তবে কড়া বিধিনিষেধের জেরে এই মুহূর্তে কোভিড সংক্রমণ আবার কমতে শুরু করেছে। বেড়েছে সুস্থতার হারও। এমনই একমুহূর্তে সরকারি স্কুলে কোভিড কেয়ার ইউনিট রাজ্যবাসীকে আলোর পথ দেখাবে।