উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভর্তি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য
শরীরে বাসা বেধেছে করোনা
সোশ্যাল মিডিয়ায় আরোগ্য কামনা অসংখ্য অনুরাগীর
বুধবার রাতে কেমন আছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী
সদ্য শেষ হওয়া বিধানসভা নির্বাচনে একেবারে শূন্য হয়ে গিয়েছে বামেরা। তা সত্ত্বেও এখনও বহু মানুষের নয়নের মণি তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনায় একেবারে ব্যক্তিগত স্তর থেকে উঠে এসেছে বার্তা। তাঁদের বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের অনুগামী না বলে অনুরাগী বলাই ভাল। হয়তো তাদের কামনার জোরেই বুধবার রাত পর্যন্ত বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানিয়েছে উডল্যান্ডস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে গতকাল রাতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে রেমডিসিভির ইঞ্জেকশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রেমডিসিভির নেওযার পর থেকে মোটের উপর ভালোই আছেন করোনা আক্রান্ত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। প্রয়োজন হলে টকিলিজুমাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে এদিন তাঁর রক্তচাপ একেবারে স্বাভাবিক রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে খাবারও খেয়েছেন তিনি। ওষুধের জন্য তন্দ্রাচ্ছন্নতা থাকলেও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথাও বলেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বাইপ্যাপ যন্ত্রের সাহায্যে মাঝে মাঝে তাঁকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। তাতে তাঁর রক্তে অক্সিজেনের ঘনত্ব ৯২ থাকছে বলে জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে।
অন্যদিকে, তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থাও এখন স্বাভাবিক বলেই জানিয়েছে উডল্যান্ডস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপতালে কয়েকটা দিন কাটিয়ে গত সোমবারই বুদ্ধদেব-জায়া বাড়ি ফিরেছিলেন। কিন্তু, মঙ্গলবার তাঁর প্যানিক অ্যাটাক হয়। শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন। তাই ফের হাসপতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। স্থিতিশীল হলেও ২৪ ঘন্টা পর্যবেক্ষণেই রাখা হচ্ছে মীরা ভট্টাচার্যকে।
গত ১৮ মে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। তিনি হাসপতালে যেতে রাজি নন বলে, বাড়িতে রেখেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু, সোমবার রাত থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়, মঙ্গলবার সকালে অক্সিজেনের ঘনত্ব ৮০ থেকে ৮২'র মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল। এরপরই আর ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকে উডল্যান্ডস্ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেই থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে হাসপাকতাল থেকে ছাড়া পান, সেই কামনায় ভরেছে সোশ্যাল মিডিয়া। সেলিব্রিটি থেকে নিতান্ত সাধারণ মানুষ, কে নেই সেই তালিকায়! ২০১১-তে বাংলা তাঁকে প্রত্যাখ্যান করলেও তার ৫ বছর আগে ২৩৫টি আসন দিয়ে সমর্থনও করেছিল।