নিজামুদ্দিন যোগ এবার উত্তর দিনাজপুরে। পুলিশ ও স্বাস্থ্য দপ্তরের যৌথ অভিযান খোঁজ মিলল ১২ জনের। তাঁদের পাঠানো হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে ইসলামপুরে।
আরও পড়ুন: পুরুলিয়ায় পীত-বমি করতে করতে বালকের মৃত্যু, পরিবারের অভিযোগ অনাহার
করোনা আতঙ্কে যখন থরহরিকম্প গোটা দেশ, তখন খাস দিল্লির নিজামুদ্দিন মসজিদে ধর্মীয় সমাবেশে জমায়েত হয়েছিলেন দুই থেকে আড়াই হাজার মানুষ। বিভিন্ন রাজ্যের ইসলাম ধর্মালম্বীরা যেমন ছিলেন, তেমনি ছিলেন বহু বিদেশি নাগরিকও। রাজধানীর একটি ঘিঞ্জি এলাকায় ছ'তলা ভবনে গাদাগাদি করেছিলেন তাঁরা সকলেই। শুধু তাই নয়, সমাবেশ থেকে ফিরে তেলেঙ্গানায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ৬ জন। কাশ্মীরেও মৃত্যু হয়েছে এক ধর্মীয় নেতার। নিজামুদ্দিনের সমাবেশ থেকেই কী সংক্রমণ ছড়াল দেশে? কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য, ওই ধর্মীয় সমাবেশে সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, এমন ৬৪৭ জন করোনা আক্রান্তকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। এমনকী, ১২ জন মৃতের সঙ্গেও নিজামুদ্দিনের যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন: লকডাউনের পর 'রাজ্য়ে' কমপ্লিট লকডাউন, বাড়তে চলেছে কী কী বিধিনিষেধ
আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ার কামাল, করোনা ত্রাণে লক্ষাধিক অর্থসাহায্য় বর্ধমানের ছয় যুবকের
উত্তর দিনাজপুর থেকে নিজামুদ্দিনের সমাবেশ যোগ দিতে গিয়েছিলেন ১২ জন। ইসলামপুর পুলিশ জেলার সুপার শচিন মক্কর জানিয়েছেন, দিল্লি থেকে ফিরে তাঁরা আত্মগোপন করেছিলেন গাইসাল এলাকায়, একটি মসজিদে। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার যৌথভাবে এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ ও স্বাস্থ্য দপ্তর। জানা যায়, নিজামুদ্দিন ফেরত ওই ১২ জন তিন সপ্তাহ ধরে মসজিদেই রয়েছেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অবশ্য কারওই জ্বর, সর্দি-কাশি বা অন্য় কোনও উপসর্গ পাওয়া যায়নি। তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাঁদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে রায়গঞ্জে পাঞ্জিপাড়ার কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অহেতুক আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
উল্লেখ্য, পুরুলিয়া থেকে ৫৪ জন দিল্লির নিজামুদ্দিনে ধর্মীয় সমাবেশ যোগ দিতে গিয়েছিলেন। তবে তাঁদের কেউ জেলায় ঢুকতে পারেননি বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার এস সেলভা মুরুগান।