করোনায় আক্রান্ত হলেন কলেজের এক অধ্যাপিকা। মালদার চাঁচল কলেজের ঘটনা। তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ হওয়ার কারণে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্কে ভুগছেন কলেজের অন্য অধ্যাপক থেকে শুরু করে পড়ুয়ারা।
এখন গোটা বিশ্বে আতঙ্ক তৈরি করেছে করোনার (Corona) নতুন রূপ ওমিক্রন (Omicron)। দেশেও থাবা বসিয়েছে এই ভাইরাস (Virus)। এমনকী, বাংলাও এর হাত থেকে রেহাই পায়নি। আর তার মধ্যেই প্রতিদিনই ওঠা-নামা করছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আর তার মধ্যেই করোনায় আক্রান্ত হলেন কলেজের এক অধ্যাপিকা (Professor)। মালদহর (Malda) চাঁচল কলেজের (College) ঘটনা। তাঁর করোনা পরীক্ষার (Corona Test) রিপোর্ট পজিটিভ হওয়ার কারণে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্কে ভুগছেন কলেজের অন্য অধ্যাপক থেকে শুরু করে পড়ুয়ারা (Student)। কলেজ বন্ধের রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে অধ্যাপক থেকে শুরু করে কলেজ ক্লার্কদের তরফে।
জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরে করোনার উপসর্গ ছিল চাঁচল কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ওই অধ্যাপিকার। গতকাল তিনি কলকাতা থেকে ফেরেন। এই অবস্থায় আজ তিনি কলেজে এসেছিলেন। দুদিন আগে তিনি করোনা পরীক্ষা করান। আজ মঙ্গলবার তিনি কলেজে আসার পর খবর পান তার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। চাঁচল শহরেই থাকেন তিনি। আজ দুপুরে ওই কলেজ অধ্যাপিকার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ (Positive Report) আসাই সংক্রমনের আতঙ্ক ছড়িয়েছে অধ্যাপক থেকে শুরু করে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। এই নিয়ে তাঁরা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অজিত বিশ্বাস ও চাঁচল কলেজের প্রশাসক তথা মহকুমা শাসক কল্লোল রায়ের কাছে কলেজ বন্ধ রাখার প্রস্তাব রেখেছেন। কলেজ অধ্যাপিকা করোনা পজিটিভ হওয়ায় কলেজের অফিস রুম, স্টাফ রুম ও গোটা কলেজ চত্বর স্যানিটাইজ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্ত, ২টি টিকা ও ১টি ওষুধকে ছাড় কেন্দ্রের
এ বিষয়ে চাঁচল কলেজের কোষাধক্ষ্য সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আজ তিনি কলেজে এসছিলেন তারপরে আমরা জানতে পারি তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আমরা রীতিমতো আতঙ্কিত। এর মধ্যে কলেজ বন্ধ রাখা খুবই দরকার।"
আরও পড়ুন- করোনা আক্রান্ত ডেরেক, লাভ হল না 'অতি সতর্ক' হয়েও
চাঁচল কলেজের প্রশাসক তথা চাঁচোলের মহকুমাশাসক কল্লোল রায় বলেন, "কলেজ অধ্যাপিকার করোনা পজিটিভ হওয়ার বিষয়টি সামনে এসেছে। আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি। বর্তমানে কলেজ অধ্যাপিকা হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। পাশাপাশি কলেজের সমস্ত অধ্যাপক অধ্যাপিকা ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীদের করোনা টেস্ট করা হবে। ইতিমধ্যেই গোটা কলেজ চত্বরে স্যানিটাইজ করার কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি কলেজ অধ্যক্ষের সঙ্গে কলেজ বন্ধ রাখার বিষয় নিয়ে আমার কথা হয়েছে। আশাকরি কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হবে।"