হোলির আগের রাতে নাইট কার্ফুতে ছাড়, নবান্নের বিশেষ নির্দেশ

বিধি ভাঙলে তার বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এমনটাই হুঁশিয়ারি প্রশাসনের। তবে নাইট কার্ফু যে পুরোপুরি তুলে নেওয়া হচ্ছে না, সে তথ্যও দিয়েছে নবান্ন। 

Parna Sengupta | Published : Mar 10, 2022 5:50 PM IST

হোলির (Holi) আগের দিন মধ্য রাতে (Mid Night) রাজ্যে (West Bengal) কোভিড বিধি (Covid Restrictions) শিথিল করল রাজ্য সরকার। নবান্ন (Nabanna) থেকে জারি করা এক নির্দেশিকাতে এমনটাই জানান হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বিপর্যয় মোকাবিলা আইন ও মহামারী রোগ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞাকে সামনে রেখেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে। রাজ্যে ১৮ তারিখ দোলযাত্রা ও হোলি পালিত হবে। ঠিক তার আগের রাত্রি ১২টা থেকে ভোর ৫টা অবধি "হোলি কা দহন" উপলক্ষে যানবাহন ও মানুষের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হল।

এক সপ্তাহ আগে রাজ্য জুড়ে বিধি নিষেধের মেয়াদ ১৫ই মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। রাত ১২ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত বহাল থাকবে নিষেধাজ্ঞা। নিয়ন্ত্রণ থাকবে গাড়ি চলাচলের ওপরও। এছাড়াও মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা সহ যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধির দিকে খেয়াল রাখতে হবে সাধারণ মানুষকে। বিধি ভাঙলে তার বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এমনটাই হুঁশিয়ারি প্রশাসনের। তবে নাইট কার্ফু যে পুরোপুরি তুলে নেওয়া হচ্ছে না, সে তথ্যও দিয়েছে নবান্ন। 

বর্তমানে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে দেশের জনজীবন। খুলতে শুরু করেছে স্কুল আর কলেজ। রেস্তোরাঁ থেকে মল সর্বত্রই দেখা যাচ্ছে স্বাভাবিক ছন্দ। এই অবস্থাতে করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছেন ভাইরোলজিস্ট টি জ্যাকব। তিনি বলেছেন ভারতে তৃতীয় তরঙ্গ শেষ হচেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোভিডএর অন্য কোনও রূপ দেখা যায়নি। তাতেই আশা করা যায় এই দেশে করোনাভাইরাসের চতুর্থ তরঙ্গ আছড়ে পড়বে না।  জ্যাকব আরও বলেন দেশটি মহামারির শেষ পর্বে পৌঁছে গেছে। আর এই দেশে চতুর্থ তরঙ্গের কোনো হুমকি নেই। 

জ্যাকব আরও বলেছেন, তিনি মনে করেন, এই দেশে করোনাভাইরাস স্থানীয় একটি রোগে পরিণত হয়েছে। আক্রান্ত ও দৈনিক গড় বিশ্লেষণ করে এই দাবি করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায় এই সংখ্যা আগামী চার সপ্তাহ ধরে সামান্য ওঠানামা করবে। তবে তাতে ভয়ের কিছু নেই। আগামী চার সপ্তাহ এটি এই দেশে মহামারির পর্যায়ে থাকবে। ভারতের সমস্ত রাজ্যেই একই প্রবণতা দেখা দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

তবে জ্যাকব সতর্ক করে বলেছেন,  যদি অপ্রত্যাশিত আলফা, বিটা, গামা বা ওমিক্রনের পর নতুন কোনও রূপ দেখা  না দেয় তাহলেই ভারত মহামারির হাত থেকে নিস্তার পাবে। এখনও পর্যন্ত এই দেশে তেমন ভাবে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি কোভিডের নতুন কোনও প্রজন্মকে। তাই তিনি এই আশার আলো দেখছেন। তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, কোভিড কখনই পুরোপুরি মিলিয়ে যাবে না। এটি ছোটখাটো রোগে পরিণত হবে। মাঝে মাঝেই প্রাদুর্ভাব ঘটবে।

Share this article
click me!