প্রশাসনিক কর্তাকে দিয়ে নিজের পছন্দের করোনা ভ্যাকসিনের বেনিফিশিয়ারিদের নামের তালিকা পাশ করাতে শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়ে মহকুমা শাসকে চরম হেনস্থার অভিযোগে খোদ তৃণমূলের পুরসভার দাপুটে কাউন্সিলরের জেল হেফাজত।শনিবার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল মুর্শিদাবাদের ডোমকল এলাকায়।
আরও পড়ুন, 'মুখ্যমন্ত্রীর নামে অশালীন মন্তব্য', দিলীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের বিধাননগর দক্ষিণ থানায়
এদিনের শেষ পাওয়া খবরে জানা যায়, ঘটনায় গ্রেপ্তার তৃণমূলের ওই করিতকর্মা কাউন্সিলর প্রদীপ চাকরিকে এদিন বহরমপুর অ্যাডিশনাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এজলাসে তোলা হয়। বিচারক শেষ অবদি ওই কাউন্সিলরের জামিনের আবেদন খারিজ করে তাকে ৩১ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। যদিও এই পুরো ঘটনায় তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের সংসদ তথা জেলা সভাপতি আবু তাহের খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি। এলাকা সূত্রে জানা যায়,সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ জুড়ে হু হু করে বাড়তে থাকা করণা সংক্রমণ রুখতে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জেলার প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে ফ্রন্টলাইনে থাকা মানুষজন যথা দিনমজুর থেকে শুরু করে শ্রমিক, হকার তাদের জন্য করণা ভ্যাকসিন এর ব্যবস্থা করা হয়। আর এই নিয়েই যাবতীয় বিপত্তির সূত্রপাত। অভিযোগ,ডোমকল মহাকুমার তৃণমূল কাউন্সিলর কথা প্রভাবশালী নেতা প্রদীপ চাকি তার পছন্দমতো ব্যক্তিদের একটি নামের তালিকা তৈরি করে ডোমকলের মহকুমা শাসক রাজীব মন্ডল এর কাছে পাঠান। পত্রপাঠ সেই তালিকা অবৈধ বলে বাতিল করে দেন ডোমকলের মহকুমা শাসক রাজীব মণ্ডল। আর এতেই রীতিমতো চটে যান তৃণমূলের ওই কাউন্সিলর প্রদীপ চাকী ও তার অনুগামীরা।
আরও পড়ুন, ৫৭ ঘন্টা পর সাজিরহাটের গেঞ্জি কারখানা থেকে উদ্ধার ৪ অগ্নিদগ্ধ দেহ, ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক টিম
জানা যায়,তৃণমূল কাউন্সিলর মহকুমা শাসককে চরমভাবে হেনস্তা করেন এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে । খোদ মহকুমা শাসকের সাথে এমন ঘটনা এই ঘটনা চাউর হতেই আইনশৃঙ্খলা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় পুরো মুর্শিদাবাদ জেলার প্রশাসনিক মহলে। প্রশ্ন উঠতে থাকে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়েও। তড়িঘড়ি এদিন ডোমকলের মহকুমা শাসক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার জেরে গ্রেপ্তার হন ওই কাউন্সিলর। এরপরই কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে প্রদীপ চাকী কে বহরমপুর এর অ্যাডিশনাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। তার পরেই তিনি ওই তৃণমূল কাউন্সিলর কে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন এ দিন। এলাকাবাসীরা জানান,"এইভাবে রাজনৈতিক ক্ষমতাসীন দলের নেতারা যদি সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করে তাদের মনমতো ব্যক্তিদের ভ্যাকসিন পাইয়ে দিতে খোদ মহকুমা শাসককে পর্যন্ত ব্যবস্থা করে। সেক্ষেত্রে কোন ব্যবস্থা নেওয়া উচিত প্রশাসনের"।