করোনা বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শামিল ওঁরাও। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বীরভূমের রামপুরহাটে মোমবাতি জ্বালালেন ভবঘুরেরা। তাঁদের হাতে মোমবাতি তুলে দেন স্থানীয় সাংবাদিকরা।
আরও পড়ুন: করোনা যুদ্ধে নয়া স্লোগান শিক্ষিকার, 'লড়বো জিতব বাঁচবো রে'
রামপুরহাট শহরে ভবঘুরে-এর সংখ্যা একশোরও বেশি। লকডাউনের বাজারে তাঁদের খাবার যোগান দেবে কে? রীতিমতো চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। শেষপর্যন্ত জরুরি বৈঠক ডেকে সাংবাদিকদেরই শহরের ভবঘুরের খাওয়ানোর দায়িত্ব দেন রামপুরহাটের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সৌম্যজিৎ বড়ুয়া। ২৬ মার্চ থেকে অভুক্তদের মুখে দুবেলা অন্ন তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে বীরভূম জার্নালিস্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এবং রামপুরহাট প্রেসক্লাব। মহৎ এই কর্মকাণ্ডে সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বহু সাধারণ, ব্যবসায়ী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরাও। যাঁরা খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন, তাঁরাই রবিবার রাতে ভবঘুরদের হাতে মোমবাতি তুলে দেন। প্রধানমন্ত্রী আহ্বানে রাত ন'টা থেকে টানা ন'মিনিটে রাস্তায় মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখেন চালচুলোহীন মানুষেরাও।
আরও পড়ুন: রাজ্য়ে করোনায় মৃত কারা, ৩৪টি পরীক্ষার ফল দেখে সিদ্ধান্ত
আরও পড়ুন: ' পৈতের সময় তিনদিন ঘরবন্দী ছিলাম', লকডাউনে স্মৃতির শহরে 'লালপাহাড়ি' গানের স্রষ্টা
রামপুরহাট শহরের বাসিন্দা ও শিক্ষক তারকনাথ মণ্ডল বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে আমরা সংহতির জন্য সকলকে দিয়ে মোমবাতি জ্বালালাম। যাঁরা করোনা বিরুদ্ধে যুদ্ধে নিজেদের জীবনকে বাজি রেখে লড়াই করছে তাঁদের কুর্নিশ জানাতেই প্রধানমন্ত্রীর এই আহ্বানে সাড়া দিলাম।'