চিনের উহান প্রদেশেই সবার আগে দেখা দিয়েছিল করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত রোগী। তারপর সেটা উহান থেকে চিনের বিভিন্ন প্রান্তে, তারপর ইউরোপ-আমেরিকা হয়ে দুনিয়ার প্রায় সর্বত্রই ছড়িয়েই পড়ে। করোনার প্রথম ভয়াবহ রূপটা চিনেই দেখা গিয়েছিল। চিন থেকে রোগটা শুরু হওয়ায় অনেকেই একে চায়না ভাইরাসও বলত। পরে অবশ্য চিন অনেকটাই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠে, ইউরোপ-আমেরিকা-এশিয়ার বিভিন্ন দেশে দাপট শুরু হয়। অনেকেই অভিযোগ করেছিলেন বিশ্বকে মুঠোয় আনতে উহানের ল্যাবে করোনা ভাইরাসের জন্ম দিয়েছিল চিন। যদিও সে সব অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর করোনার থার্ড ওয়েভের শিকার হতে পারে শিশুরাই, সতর্কতা অবলম্বনে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
সেই চিন এখন করোনার দাপট থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। চিনের প্রশাসন এখন টিকাকরণের ওপরেই সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছে। ৭ মে পর্যন্ত চিনে ৩০ কোটি ৮০ লক্ষ ডোজ টিকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। টিকাদানে গতি এসেছে অনেকেটা। যেমন ৭ মে তারিখেই ১.৫ কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। চিনের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।
আরও পড়ুন: কোভিড যুদ্ধে মহারাষ্ট্রের ভূমিকার প্রশংসা প্রধানমন্ত্রীর
তবে জরুরি ব্যবহারের জন্য চিনের সিনোফার্মের ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। এদিকে, করোনার প্রথম ঢেউতে চিনের রফতানি যেভাবে কমে গিয়েছিল খেয়েছিল তাতে সে দেশের অর্থনীতি বড় ধাক্কা খেয়েছে। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠছে চিন। গত এপ্রিল মাসে চিনের রফতানি ব্যবসায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। দুনিয়ার চাহিদা বাড়ায় চিনের শিপমেন্ট গত বছরের এপ্রিলের তুলনায় ৩২.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।