দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে ওমিক্রনের নতুন রূপ BA.2- ৫টি পয়েন্টে জেনে নিন এর সম্পর্কে

ওমিক্রনের সাবভেরিয়েন্ট BA.2 মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঘাঁটি তৈরি করে ফেলেছে। করোনা ভাইরাস ফের হামলা চালিয়েছে পশ্চিম ইউরোপে।

Parna Sengupta | Published : Mar 22, 2022 5:24 PM IST

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ইউরোপে নতুন করে করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ইতিমধ্যেই ওমিক্রনের সাবভেরিয়েন্ট BA.2 মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঘাঁটি তৈরি করে ফেলেছে। করোনা ভাইরাস ফের হামলা চালিয়েছে পশ্চিম ইউরোপে।  

কি এই BA.2- কী জানা যাচ্ছে এর সম্পর্কে?

১. সান দিয়েগো-ভিত্তিক জিনোমিক্স ফার্ম হেলিক্স জানুয়ারির শুরুতেই ওমিক্রনের সাবভেরিয়েন্ট BA.2 সম্পর্কে সতর্ক করেছিল। জানুয়ারিতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম এর আত্মপ্রকাশ ঘটে। যদিও এটি প্রাথমিকভাবে এটির উপসর্গ তত ভয়াবহ ছিল না। এর সংক্রমণও ধীর গতিতে হচ্ছিল। হেলিক্স এখন অনুমান করেছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সমস্ত COVID-19 কেসের মধ্যে পঞ্চাশ শতাংশ থেকে ৭০ শতাংশ BA.2। এই তথ্য দিচ্ছে  ব্লুমবার্গ। 

২. হোয়াইট হাউসের প্রধান চিকিৎসা উপদেষ্টা ডাঃ অ্যান্টনি ফৌসি বলেছেন, BA.2 ওমিক্রনের তুলনায় ৬০ শতাংশ বেশি সংক্রমণযোগ্য, তবে এটি আরও গুরুতর বলে মনে হচ্ছে না। তবে এর ট্রান্সমিশন ক্ষমতা বেশি। 

৩. সময়মতো টিকা এবং বুস্টার শটগুলি ভাইরাস থেকে গুরুতর অসুস্থতা প্রতিরোধের সবচেয়ে ভালো উপায় হিসেবে এখনও পর্যন্ত রয়েছে। ডাঃ ফৌসি বলেছেন, এই ভেরিয়েন্টটি ইতিমধ্যে চিন এবং ইউরোপের কিছু অংশে COVID-19 এর কেসের সংখ্যা যথেষ্ট বাড়িয়েছে। 

৪. কিছু বিশেষজ্ঞ বলেছেন যে BA.2, এর পূর্বসূরি BA.1 এর তুলনায় মাত্র ৩০ শতাংশ বেশি সংক্রামক হতে পারে। তবে ফৌসির অনুমান ৬০ শতাংশ দ্রুত ছড়াচ্ছে এই নতুন ভেরিয়েন্ট।  এই সাবভেরিয়েন্টকে কখনও কখনও "স্টিলথ ওমিক্রন" বলা হয় কারণ এটি সনাক্ত করা আরও কঠিন।

৫. ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (WHO) অনুসারে, BA.2 এর জিনগত বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে BA.1-এর তুলনায়। যার মধ্যে স্পাইক প্রোটিন এবং অন্যান্য প্রোটিনের কিছু অ্যামিনো অ্যাসিড পার্থক্য রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে BA.2-এর BA.1-এর তুলনায় বৃদ্ধির সুবিধা রয়েছে। প্রাথমিক তথ্য থেকে বোঝা যায় যে BA.2,  BA.1 এর চেয়ে বেশি সংক্রমণযোগ্য। 

এদিকে, ভারতে যখন কোভিড-১৯ মহামারির (Covid-19 Pandemic) তৃতীয় তরঙ্গ দুর্বল হচ্ছে, একই সময়ে কোভিড পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে চিন (China) এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় (South Korea)। বস্তুত, ২০১৯ সালের শেষ দিকে উহানে (Wuhan) কোভিড মহামারির প্রথম উত্থানের পর থেকে, চিন এই মুহূর্তে সবথেকে ভয়ঙ্কর প্রাদুর্ভাবের মোকাবিলা করছে। চিন ও কোরিয়ায় এই আচমকা সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য মূলত করোনার 'স্টেলথ ওমিক্রন' রূপান্তর (Stealth Omicron) দায়ী, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। 

রবিবারই ভারতের তামিলনাড়ুতে (Tamil Nadu) করোনার এই নবতম রূপভেদটি ধরা পড়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এই রূপান্তর আমাদের দেশে মহামারির চতুর্থ তরঙ্গের (Covid-19 Fourth Wave) উত্থান ঘটাতে পারে। তাই সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।

Share this article
click me!