করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে আজব দাওয়াই চিনের, আক্রান্তদের বন্দি করা হচ্ছে ধাতব বাক্সে

সংক্রমণের উপর রাশ টানতে নিভৃতবাস, বিচ্ছিন্নবাস, লকডাউন সব ব্যবস্থাই নিয়েছে চিন। কিন্তু, তারপরও কোনওভাবেই সংক্রমণের উপর রাশ টানা সম্ভব হচ্ছিল না। এই পরিস্থিতিতে এক নতুন পথ বেছে নিয়েছে চিন।

Web Desk - ANB | Published : Jan 13, 2022 7:01 AM IST / Updated: Jan 13 2022, 01:09 PM IST

ফেব্রুয়ারিতেই বেজিংয়ে (Beijing) বসতে চলেছে শীতকালীন অলিম্পিক্সের (Winter Olympics) আসর। আর তার মধ্যেই সবথেকে বেশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সেখানকার করোনা পরিস্থিতি। লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা। এই পরিস্থিতির মধ্যে 'জিরো কোভিড' নীতি (Zero COVID Policy) নিয়েছে চিন (China)। আর করোনা থেকে দেশকে পুরোপুরিভাবে নির্মূল করতে একাধিক নীতি নিচ্ছে শি চিনফিং সরকার। আর তার মধ্যে এবার এক আজব নীতি নিয়েছে চিন। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। 

সংক্রমণের উপর রাশ টানতে নিভৃতবাস, বিচ্ছিন্নবাস, লকডাউন সব ব্যবস্থাই নিয়েছে চিন। কিন্তু, তারপরও কোনওভাবেই সংক্রমণের উপর রাশ টানা সম্ভব হচ্ছিল না। এই পরিস্থিতিতে এক নতুন পথ বেছে নিয়েছে চিন। করোনা সংক্রমিত ব্যক্তিদের ধাতব বাক্সের (metal box) মধ্যে বন্দি করে রাখা হচ্ছে। এক একজনকে রাখা হচ্ছে এক একটি বাক্সের মধ্যে। আর সেই বাক্সের মধ্যেই রয়েছে কাঠের তৈরি খাট ও বাথরুম। সেই বাক্সের মধ্যে দু'সপ্তাহ ধরে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে গর্ভবতী থেকে শুরু করে বাচ্চা, প্রাপ্ত বয়স্ক সবাইকেই। সেই ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।  

 

 

আরও পড়ুন- সংক্রমিত করা শক্তি ৯০ শতাংশ হারিয়েছে করোনাভাইরাস, প্রথম ৫ মিনিট ক্ষতিকারক

করোনা পরীক্ষার (Corona Test) রিপোর্ট পজিটিভ আসলেই আর বাড়িতে থাকতে পারবেন না সেই দেশের বাসিন্দারা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের চলে যেতে হবে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। সেখানেই প্রায় দু'সপ্তাহ থাকতে হবে তাঁদের। বাসে করে তাঁদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। কোনও একটি আবাসনে যদি একজন ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হন তাহলেই আবাসনের সব ব্যক্তিকেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হচ্ছে। সরকারের তরফে বাসে করে তাঁদের সবাইকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বাসে করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই দৃশ্যও। 

আরও পড়ুন- ১৩ ঘণ্টার ম্যারাথন আলোচনা, লাদাখ ইস্যুতে ভারত-চিন সামরিক বৈঠক

সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, মধ্য চিনের শাংচি প্রদেশের জিআন শহরে খোলা হয়েছে এই নিভৃতবাস ক্যাম্প। সেখানে বাচ্চা থেকে শুরু করে বয়স্ক, এমনকি, গর্ভবতী মহিলাদেরও অন্তত দু’সপ্তাহের জন্য জোর করে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ। যা নিয়ে বিতর্কও দানা বেঁধেছে। বাড়তে থাকা কোভিড সংক্রমণের দরুণ জিআন শহরের প্রায় দু’কোটি বাসিন্দাকে বাড়িতেই থাকতে বলা হয়েছে। খাবার কিনতে বাইরে বেরোনোর ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সোমবার সেখানে ১৩ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। মাত্র দু’জন ওমিক্রন সংক্রমিতের সন্ধান পাওয়ার পর চিনের আনিয়াং শহরে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ইউচৌ শহরেও এক সপ্তাহের জন্য কড়া লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে। এমনকী, এতটাই কড়াকড়ি করা হয়েছে যে কেউ যদি কোনও আক্রান্তের সংস্পর্শে আসেন তাহলে তাঁকে বাড়ি থেকে বা হোটেল থেকে বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না। 

Share this article
click me!