৩২ বার ভাইরাসের চরিত্র বদল, ২১৬ দিন পর করোনামুক্ত এইচআইভি পজিটিভ মহিলা

  • করোনায় আক্রান্ত হন এইচআইভি পজিটিভ মহিলা
  • ২১৬ দিন করোনায় আক্রান্ত ছিলেন
  • তার মধ্যে ৩২ বার চরিত্র বদল করেছিল ভাইরাস
  • এই ঘটনা সাড়া ফেলে দিয়েছে গবেষক মহলে

করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপটে নাজেহাল গোটা বিশ্ব। আক্রান্ত হয়েছেন অনেকেই। এছাড়া গত দেড় বছরে একাধিকবার চরিত্র বদল করেছে করোনাভাইরাস। চরিত্রগুলি নিয়ে চলছে গবেষণা। এই পরিস্থিতির মধ্যেই এক আশ্চর্য ঘটনার স্বাক্ষী হলেন গবেষকরা। আর এই ঘটনা করোনা সম্পর্কিত অনেক অজানা বিষয়ের উপর থেকে পর্দা সরাতে সাহায্য করবে বলে মনে করছেন তাঁরা। 

৩৬ বছর বয়সি এইচআইভি পজিটিভ এক মহিলা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সাধারণত কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে ১৪দিন পর্যন্ত তাঁর শরীরে এই ভাইরাসের সংক্রমণ বজায় থাকে। দক্ষিণ আফ্রিকার কয়েকজন গবেষক ওই মহিলার উপর একটি গবেষণা করেছিলেন। তাতে জানা গিয়েছে, তাঁর শরীরে ২১৬ দিন পর্যন্ত বজায় ছিল করোনার সংক্রমণ। আর সেই সময় প্রায় ৩২ বার চরিত্র বদল করেছে ওই ভাইরাস। যা রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে গবেষক মহলে। 

Latest Videos

আরও পড়ুন- টিকাকরণের সংখ্যায় বিশ্বে এখন এক নম্বরে ভারত, পিছনে ফেলল আমেরিকাকে

বৃহস্পতিবার একটি মেডিকেল জার্নালে এই গবেষণা সংক্রান্ত একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়েছে, ২০০৬ সালে এইচআইভি পজিটিভ হয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বাসিন্দা ওই মহিলা। তারপর থেকেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু, এইচআইভি-র কারণে তাঁর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কমে গিয়েছে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে করোনায় আক্রান্ত হন তিনি। তারপর তাঁর শরীরে ২১৬দিন ধরে বাস করেছিল করোনাভাইরাস। আর সেই সময়কালে এই ভাইরাস ১৩ বার স্পাইক প্রোটিন মিউটেশন ঘটিয়েছে। এই তথ্য দেখে অবাক গবেষকরা।  বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর করোনার চরিত্র সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য উঠে আসবে বলে মনে করছেন তাঁরা। 

২১৬ দিনে ওই মহিলার শরীরে করোনার একাধিক প্রজাতির উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, আলফা প্রজাতি বি.১.১.৭ (যা প্রথমবার ব্রিটেনে ধরা পড়েছিল), বিটা প্রজাতি বি.১.৩৫১ (যা প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকায় ধরা পড়েছিল), ই৪৮৪কে প্রজাতির হদিশ পাওয়া গিয়েছিল তাঁর শরীরে। তবে তাঁর শরীর থেকে এই প্রজাতিগুলি অন্য কারও শরীরে প্রবেশ করেছে কি না তা অবশ্য এখনও জানতে পারেননি গবেষকরা। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার কাজুলু নাতাল এলাকায় করোনা ভাইরাসের একাধিক প্রজাতির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। যেই এলাকায় প্রতি ৪জন প্রাপ্ত বয়স্কের মধ্যে ১ জন এইচআইভি-তে আক্রান্ত। তাই ওই মহিলার থেকে সংক্রমণ যদি অন্য কারও শরীরে প্রবেশ করে তাহলে আশ্চর্যের তেমন কিছুই নেই বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন এইচআইভি পজিটিভ রোগীর করোনায় প্রাণ হারানোর সম্ভাবনা সাধারণ কোমর্বিডিটি রোগীর তুলনায় ২.৭৫ গুণ বেশি। যদিও ২১৬ দিন করোনা তাঁর শরীরে বাসা বাঁধলেও এখন পুরোপুরি সুস্থ ওই মহিলা। 

Share this article
click me!

Latest Videos

অসাধ্য সাধন! যথেষ্ট পরিকাঠামো না থাকার সত্ত্বেও ৮০০ গ্রামের শিশুকে বড় করে তুলল বারাসাত মেডিক্যাল
ইসকনের পাশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কড়া বার্তা দিলেন বাংলাদেশকে? Narendra Modi
বাজার থেকে ফেরার পথেই ঘটলো অঘটন! আতঙ্কের ছায়া শান্তিপুরে, দেখুন | Nadia News Today
পুলিশি অভিযানে বড়সড় সাফল্য! উত্তেজনা রানাঘাটে, দেখুন | Ranaghat News Today
Live: সাংবাদিক সম্মেলনে শমীক ভট্টাচার্য ও শিশির বাজোরিয়া, কী বলছেন, দেখুন সরাসরি