শারীরিক দূরত্ব কতটা হলে তবেই সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব? প্রশ্ন উঠছে। কারণ দেশের প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইসারের অফিস বৃহস্পতিবার যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে স্পষ্ট যে বাতাসে বায়ুকণার সাহায্যে করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে ১০ মিটার পর্যন্ত। অর্থাৎ সংক্রমণের উৎস থেকে ভাইরাস বাতাসের সাহায্যে ১০ মিটার পর্যন্ত ভেসে থাকতে পারে। এর মধ্যে থাকা যে কোনও মানুষকে সংক্রামিত করার ক্ষমতা থাকছে করোনা ভাইরাসের।
প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইসার কে বিজয় রাঘবন জানাচ্ছেন বাতাসের অতি ক্ষুদ্র কণাকে আঁকড়ে ১০ মিটার পর্যন্ত ভেসে যাচ্ছে ভাইরাস। তবে বড় জলকণায় দু মিটার পর্যন্ত যেতে পারছে। ছোট বা অতি ক্ষুদ্র জলকণাকে বলা হয় অ্যারোসল। এই অ্যারোসলে ভর করে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের শরীর থেকে হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে ১০ মিটার পর্যন্ত দূরত্বে বাতাসে ভেসে থাকছে।
ফলে রাঘবনের পরামর্শ মানুষকে আরও সতর্ক হতে হবে। ভিড়ের মধ্যে বা বদ্ধ এলাকায় বা ঘরে আক্রান্তের থেকে ৬ ফুটের কম দূরত্ব থাকলে বাকি মানুষদের সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে বড় জলকণা শরীর থেকে বের হয়। এরই সঙ্গে বের হয় অসংখ্য ক্ষুদ্র জলকণা। যাকে নির্ভর করে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস। তাই খোলা ঘর, বা ফাঁকা জায়গায় থাকার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
এদিকে, করোনা থেকে সেরে ওঠার ৪৫ দিন পরে ভ্যাকসিন নেওয়া যেত। এমনই নিয়ম চালু ছিল এতদিন। কিন্তু নিয়মের বদল ঘটাল কেন্দ্র। বুধবার এক নতুন নির্দেশিকায় কেন্দ্র জানিয়েছে করোনা থেকে সেরে ওঠার তিন মাস পর টিকা নেওয়া যাবে। অর্থাৎ একবার করোনা আক্রান্ত হলে সুস্থ হতে সময় লাগছে নূন্যতম ১৪ দিন। তারপর অপেক্ষা করতে হবে আরও তিন মাস। তবেই মিলবে টিকা।
বুধবার অর্থাৎ ১৯শে মে ভ্যাকসিনেশনের ওপর তৈরি করা ন্যাশনাল এক্সপার্ট গ্রুপ এই নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকও এই নির্দেশিকায় সম্মতি প্রকাশ করেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানাচ্ছে প্রথম ডোজ নেওয়ার পর করোনা আক্রান্ত হলে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার জন্যও তিন মাস অপেক্ষা করতে হবে। তবে যাঁরা করোনা আক্রান্ত হয়ে আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন, বা শারীরিক পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়েছিল, তাঁদের ক্ষেত্রে সেই সময়সীমা কমে চার থেকে আট সপ্তাহ করা হয়েছে।