সরকারি আদেশে অভিভাবকদের তাদের বাচ্চাদের করোনা ভাইরাস পজেটিভ হলে তাদের বাচ্চাদের স্কুলে না পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের লাঞ্চ, স্টেশনারি জিনিস একে অপরের সঙ্গে শেয়ার না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দিল্লি সরকার শুক্রবার রাজধানীতে স্কুলগুলির জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) জারি করেছে। দিল্লির স্কুলগুলিতে ক্রমবর্ধমান কোভিড -১৯ কেসের মধ্যে, কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকটি নতুন কোভিড -১৯ নির্দেশিকা জারি করেছে যা স্কুল প্রশাসনকে অনুসরণ করতে হবে।
এই নতুন নির্দেশিকাতে দিল্লি সরকার স্কুলগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে যে কোনও পড়ুয়ারা ও শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী সদস্যরা থার্মাল স্ক্যানিং ছাড়া স্কুল চত্ত্বরে প্রবেশ করবেন না। এই সরকারি আদেশে অভিভাবকদের তাদের বাচ্চাদের করোনা ভাইরাস পজেটিভ হলে তাদের বাচ্চাদের স্কুলে না পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের লাঞ্চ, স্টেশনারি জিনিস একে অপরের সঙ্গে শেয়ার না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষকে নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, দিল্লিতে একদিনে ৯৬৫ জন নতুন করে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন। দিল্লিতে পজেটিভিটির রেট দাঁড়িয়েছে ৪.৭১ শতাংশ এবং একজন ব্যক্তি সংক্রমণের কারণে মারা গেছেন, বৃহস্পতিবার শহরের স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এক দিন আগে দিল্লিতে মোট ২০,৪৮০টি পরীক্ষা করা হয়েছিল।
এদিকে, দিল্লি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি বা ডিডিএমএT-এর গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে একাধিক করোনা বিধি জারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ডিডিএমএ জানিয়েছে বাইরে বেরোলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। এই নিয়ম কেউ ভাঙলে তাকে ৫০০ টাকা জরিমানা করার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এদিন ডিডিএমএ-র বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্ণর। বৈঠকে উপস্থিত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন এখনই স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার মত পরিস্থিতি হয়নি। যদিও স্কুলে বিশেষ সতর্কতা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করে একটি পৃথক স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি নিয়ে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দিল্লি সরকার শীঘ্রই মাস্কের বাধ্যতামূলক ব্যবহারের বিষয়ে একটি অফিসিয়াল নির্দেশিকা জারি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন বলেছিলেন যে দিল্লিতে কোভিড পরিস্থিতি উদ্বেগজনক নয় যদিও কেস বাড়ছে। হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা কম ছিল এবং সরকার পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন- আবারও বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা, বাচ্চা স্কুলে গেলে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি
আরও পড়ুন- দিল্লির পর এই শহরেও কোভিড-১৯এর কালো ছায়ায়, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ভাঙল মার্চের রেকর্ড
এদিকে, দিল্লি এবং ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়ন বা এনসিআরে কোভিড-১৯য়ে আক্রান্তের সংখ্যাবৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন হয়ে দিল্লি লাগেয়া প্রতিবেশী রাজ্যগুলোও সাধারণের জন্য মাস্ক বাধ্যতামূলক করেছে। কোভিড -১৯ এর চতুর্থ তরঙ্গের ভয়ের মধ্যে, উত্তরপ্রদেশ এবং হরিয়ানার সরকারগুলি সোমবার তাদের কয়েকটি জেলায় মাস্কের ব্যবহার ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বিধি শহরের প্রত্যেকের জন্য, বিশেষ করে স্কুলগুলিতে প্রযোজ্য হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।