ভ্যাকসিনের আকাল দেখা যায়নি। এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য।
ভ্যাকসিনের আকাল দেখা যায়নি। রাজ্যগুলি অহেতুক উত্তেজনা বৃদ্ধির চেষ্টা করে চলেছে। কেন্দ্র সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ভ্যাকসিনের অপ্রতুলতার গল্প তৈরি করা হচ্ছে। বুধবার এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্য প্রতিটি রাজ্যেই প্রচুর পরিমাণে ভ্যাকসিন মজুত রয়েছে। কোথাও ভ্যাকসিনের কোনও আকালের রিপোর্ট মেলেনি। অহেতুক মানুষের মনে ভীতি তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ট্যুইটে দাবি করেন রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে মিডিয়ার একাংশও জড়িয়ে রয়েছে। ফলে খুব সহজেই মিথ্যে প্রতিবেদন প্রকাশ করে মানুষকে ভ্যাকসিনের আকাল নিয়ে ভয় দেখানো যাচ্ছে। এতে জড়িয়ে রয়েছেন বিরোধী দলের রাজ্য স্তরের নেতারাও। স্বাস্থ্য মন্ত্রীর দাবি, জুন থেকেই ভ্যাকসিনের সরবরাহ রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিতে বেড়েছে। ১১.৪৬ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ এই মুহুর্তে রাজ্যগুলির হাতে রয়েছে। জুলাইতে সেই সংখ্যা ১৩.৫ কোটিতে গিয়ে ঠেকেছে।
উল্লেখ্য, দিল্লি, মহারাষ্ট্র এবং তামিলনাড়ু এমন রাজ্যগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল যেগুলি ভ্যাকসিনের ঘাটতির তথ্য প্রকাশ করেছিল। এর মধ্যে কয়েকটি রাজ্য বলেছে যে তারা টিকা কেন্দ্র বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল ভ্যাকসিনের অভাবে। তবে সে সব রিপোর্ট নস্যাৎ করেছেন মনসুখ মান্ডব্য। কেন্দ্রকে ভ্যাকসিনের আকাল নিয়ে মঙ্গলবার একহাত নেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। তিনি বলেন জুমলা হ্যায়, ভ্যাকসিন নেহি।
তবে এই সব তথ্য মানতে চাননি মান্ডব্য। তাঁর দাবি কেন্দ্রকে ছোট করে দেখানোর জন্যই এই সব তথ্য সাজানো হচ্ছে। ভ্যাকসিন নিয়ে কোনও রাজ্যে কোনও সমস্যা নেই। মান্ডব্য জানান কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে ভ্যাকসিন সরবরাহ পরিকল্পনা করেছে, যার মাধ্যমে রাজ্য সরকারগুলি জেলা পর্যায় পর্যন্ত তাদের টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করতে পারে এবং যাতে লোকেরা কোনও সমস্যায় না পড়েন।
যদি কোনও রাজ্যে ভ্যাকসিনের আকাল দেখা দেয়, তবে সেটা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের অপদার্থতা। কেন্দ্রের তাতে কোনও দায় নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এদিকে, মঙ্গলবার নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সদস্য ডা. ভি কে পল বলেছেন, কোভিড -১৯ সংক্রমণের তৃতীয় তরঙ্গের লক্ষণ ইতিমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছে। ভারতে তৃতীয় তরঙ্গের উচ্ছ্বাস আটকাতে সকলকে একসঙ্গে মিলে কাজ করতে হবে। হায়দরাবাদের এক গবেষক ড. বিপিন শ্রীবাস্তব অবশ্য দাবি করছেন, গত ৪ জুলাই থেকেই তৃতীয় তরঙ্গ শুরু হয়ে গিয়েছে।