ফেসবুক ইস্যুতে ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তকর বলেই দাবি করে বিবৃতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্ত মন্ত্রক জানিয়েছে সরকার ওই হ্যাসট্যাগ সরানোর জন্য কোনও নির্দেশ জারি করেনি। ফেসবুক স্পষ্ট করে জানিয়েছে ভুলবসত ওই হ্যাসট্যাগ সরান হয়েছিল। ঘটনার সূত্রপাত ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি প্রতিবেদন। যেখানে দাবি করা হয়েছে ফেসবুক ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানিয়ে হ্যাসট্যাগ রিজাইনমোদী সংক্রান্ত কিছু পোস্ট আটকে দিয়েছিল। খুব কং সময়ের জন্য এজাতীয় পোস্টগুলি লুকিয়া রাখা হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
\
বর্তমানে গোটা দেশই করোনাভাইরাসে সংকটে ভুগছিল। সেই সময়ই আবারও বিতর্ক তৈরি হয়েছে ফেসবুক পোস্ট ঘিরে। ওয়াল স্ট্রিটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশেই কয়েক হাজার পোস্ট আটকে দেওয়া হয়েছিল ফেসবুকের তরফ থেকে। পোস্টগুলিতে দেশের করোনা সংকটের ব্যর্থতার দায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে পদত্যাগ করতে বলা গয়েছিল। বুধবার থেকেই হ্যাসট্যাগ রিজাইন মোদী ছিল ফেসবুক ও টুইটারে জনপ্রিয় হ্যাসট্যাগগুলির মধ্যে শীর্ষে। বুধবারই কিছুক্ষণের জন্য ওইজাতীয় হ্যাসট্যাগ আটকে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার কেরেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
ভোট বড় বালাই, তাই Covid+ রিপোর্ট নিয়েই ভোটের ডিউটিতে আশা কর্মী ...
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের পর বুজফিড নিউজও দাবি করেছে ফেসবুক বুধবার পুরো ভাবরে হ্যাসট্যাগ রিজাইন মোদী লেখা পোস্টগুলি আটকে রেখেছিল। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এজাতীয় পোস্টগুলি তাদের সংস্থার বিধিনিয়মের বিপরীতধর্মী। যদিও ভারতের মানুষরা এজাতীয় পোস্ট দেখতে পাননি। কিন্তু সেই সময়ই বিদেশে বসবাসকারীর এই পোস্টগুলি দেখতে পেয়েছিলেন। ফেসবুক প্রায় তিনঘণ্টা এজাতীয় পোস্টগুলি লুকিয়ে রেখেছিল। তিন ঘণ্টার পর থেকে আবার সবকিছু স্বাভাবিক হয়। পোস্টগুলি সম্পর্কে ফেসবুকের মুখপাত্র অ্যান্ডি স্টোন বসেছিলেন তাঁরা হ্যাসট্যাগটি অস্থায়ীভাবে ও ভুলভাবে অবরুদ্ধ করেছিল। ভারত সরকার এই হ্যাসট্যাগগুলি নিয়ে তাদের কোনও রকম নির্দেশ দেয়নি বলেও দাবি করা হয়েছে। যদিও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক থেকে দাবি করা হয়েছে ৫মার্চ ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে ভারত ফেসবুক ও টুইটারের কর্মীদের হুমকি দিচ্ছে বলে একটি ভুয়ো খবর প্রকাশ করেছিল বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে মহামারির বিরুদ্ধে বর্তমানে ভারত ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই চালাচ্ছে।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর করোনা পরীক্ষার দাবি, নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল ...
এভাবে পোস্ট সরিয়ে নেওয়ার ঘটনা এই দেশে দ্বিতীয়বার ঘটল। এর আগে টুইটার কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশেই করোনা মোকাবিলায় সরকারের সমালোচনা করে যে পোস্টগুলি করা হয়েছিল সেগুলি সরিয়ে ফেলেছিল। তাই ফেসবুকেই এই দাবি নিয়ে যেথেষ্ট জলঘোলা হয়েছে। অনেক বিশিষ্ট নেটিজেনই দাবি করেছে ফেসবুককে মোদী সরকারের সমালোচনামূলক পোস্টগুলি সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
অষ্টম দফা ভোটে নজরে বীরভূম, নজরবন্দি হয়েও দাপটে অনুব্রত-অন্তরালে দুধকুমার ...