২১ দিনের জন্য লকডাউন গোটা দেশে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আপাতত গৃহবন্দি গোটা দেশ। এই পরিস্থিতিতে দিল্লির বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওাল। তিনি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য তাড়াহুড়ো করার দরকার নেই। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সঞ্চয় করে রাখারও প্রয়োজন নেই। দিল্লির লেফটানেন্ট গভর্নর অনিল বাজালকে পাশে বসিয়েই সাংবাদিক সম্মেনল করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
গতকাল রাত আটটায় জাতীর উদ্দেশ্য ভাষণ দেওয়ার সময়ই প্রধাননমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করোনাভাইরাস মোকাবিলায় গোটা দেশ জুড়েই লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছিলেন। লকডাউন চলবে টানা ২১ দিন ধরে। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরই চাল, ডাল, আটাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও আনাজপাতি কেনার জন্য লম্বা লাইন পড়ে গিয়েছিল। এই ছবি ছিল গোটা দেশেরই। এরপরই পরিস্থিতি মোকাবিলা ও দিল্লির বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করতে শক্তহাতে রাশ ধরেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি জানিয়েদেন ২১ দিনের লকডাউনের জন্য কোনও কিছু মজুত করে রাখার প্রয়োজন নেই। এই কদিন কোনও মানুষই খালি পেটে ঘুমাতে যাবে না। প্রত্যেকেরই খাবারের ব্যবস্থা করা হবে বলেও তিনি রাজধানীর বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করেন। দিল্লির গভর্নরও জানিয়েছেন ২১ দিনের লকডাউন পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য দিল্লির মানুষকে নূন্যতম পরিষেবা দেওয়া হবে। প্রয়োজনীয় দ্রব্যের পরিষেবা চালু থাকবে বলেও জানান হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে।
দিল্লির শাসকদল আম আদমি পার্টির পক্ষ থেকে জানন হয়েছে, ৭২ লক্ষ মানুষকে ৫০ শতাংশ অতিরিক্ত রেশন দেওয়া হবে বিনামূল্যে। ৫০০০ টাকা দেওয়া হবে রাজ্যের প্রত্যেক নির্মান শ্রমিককে। গৃহহীনদের জন্য বিনামূল্যে খাবার ও রাতে আশ্রয় দেওয়ার পরিকল্পনাও গ্রহণ করেছে সরকার।
করোনা সংক্রমণ রুখতে প্রথম থেকেই কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়ে আসছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এখনও পর্যন্ত দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩১। গত দুদিন ধরে নতুন কোনও সংক্রমিত ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে দিল্লির বাসিন্দাদের নিরাপদে গৃহবন্দি হয়ে থাকারই পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।