মহামারিকালে করোনাভাইরাসের টিকার দামে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে বৈষম্য কেন? কেন্দ্রের মোদী সরকারের উদ্দেশ্যে এই প্রশ্ন করল সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে কেন্দ্রের ভ্যাকসিন নীতিমালা সম্পর্কেও বিষদে জানতে চেয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। দিন কয়েক আগেই দেশের করোনাভাইরাসের সংকটের মধ্যেই চূড়ান্ত অব্যবস্থা নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।সেই মামলার শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন , বিচারপতি এন নাগেশ্বর রাও ও বিচারপতি রবীন্দ্র ভাটের বেঞ্চ এই মন্তব্য করেছে।
মামলার শুনানি চলাকালীন এদিন সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, কোভিড ভ্যাকসিনের জন্য দেশের আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষ অর্থ দিতে পারবে না। আর সেই জন্যই কেন্দ্রীয় সরকারে উচিৎ জাতীয় টিকাদান মডেল গ্রহণ করা। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন মূল্য নির্ধারণের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, 'আজ আপনি বলেছেন, যে কেন্দ্র ৫০ শতাংশ ভ্যাকসিন ফ্রন্টলাইন করোনা যোদ্ধা ও ৪৫এর বেশি বয়স্কদের টিকা দেওয়ার জন্য সরবরাহ করেছে। বাকি ৫০ শতাংশের দায়িত্ব রাজ্যের। ৪৫ বছরের কম ভরতীয়র সংখ্যা ৫৯.৪৬ কোটি। তাদের অধিকাংশ দরিদ্র ও প্রান্তিক শ্রেণির মানুষ। তাঁরা টিকা কেনার জন্য অর্থ কোথা থেকে পাবেন?'
ডিওয়াই চন্দ্রচূড় আরও বলেন এখনই বেসরকারিকরণের মডেল অনুসরণ করতে আমরা পারি না। কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন ১৮-৪৪ বছর বয়স্কদের টিকা দেওয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আর সেই কারণেই গোটা পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল হয়ে গেছে। ভ্যাকসিনের উৎপাদন বৃদ্ধির কথাও বলেওছেন তিনি। দেশের মানুষের কারণেই অক্সিজেন উৎপাদন ইউনিট অত্যন্ত জরুরি বলে জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন, ৭০-১০০ বছর ধরে উত্তরাধিকার সূত্রের দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো পেয়েছি আমরা। বর্তমানস পরিস্থিতিতে জাতীয় স্বাস্থ্য পরিকাঠানো নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।
মাত্র ১০ দিন আলাদা থাকুন, মৃদু বা উপসর্গ বিহীন করোনা রোগীদের সংশোধিত গাইড লাইন কেন্দ্রের ...
সেরামের পথে হাঁটল ভারত বায়োটেক, কোভিশিল্ডের পর দাম কমল কোভ্যাক্সিনের ...
পুদুচেরিতে গেরুয়া ঝড়, ভোট সমীক্ষায় একদম শূন্য থেকে শুরু করে রাজকীয় উত্থান বিজেপির ...
সুপ্রিম কোর্ট এদিন স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে কোন রাজ্য কতটা ভ্যাকসিন পাবে সেই সিদ্ধান্ত বেসরকারি টিকা প্রস্তুত সংস্থাগুলির হাতে কখনই ছাড়ে দেওয়া যাবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের বর্তমান ভ্যাকসিন নীতি অনুযায়ী ১ মে থেকে ১৮ বছরের ওপরে সকল নাগরিককেই টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। রাজ্যসরকারগুলিকে সরাসরি টিকা প্রস্তুতকারকদের কাছ থেকে টিকা সংগ্রহের অমুমতি দেওয়া হয়েছে। সংস্থাগুলিকে খোলা বাজারেও টিকা বিক্রির অনুমতি দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই নীতিমালা প্রকাশের পরই সেরাম ও ভারত বায়োটেক ভ্যাকসিনের দাম ঘোষণা করেছে।