টন্টনে বিশ্বকাপ ২০১৯-এর ২৩ তম ম্যাচে ওয়েস্টইন্ডিজের বিরুদ্ধে টসে জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরুতেই ক্যারিবিয়ানদের বড় ধাক্কা দিয়েছিল বাংলাদেশ। তারপর থেকে দারুণভাবে খেলাকে নিয়ন্ত্রণ করছিল ওয়েস্টইন্ডিজ। ৩৯ ওভারে ৩ উিকেট হারিয়ে ২৪০ রান তুলে ফেলেছিল ওয়েস্টইন্ডিজ। তখনও ব্য়াট করা বাকি ছিল রাসেল, হোল্ডার, ব্রাভোদের। কিন্তু ৪০তম ওভারে মুস্তাফিজুর দুই উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরালেন। তাই শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ৩২১ রানেই আটকে গেল ক্যারিবিয়ান ইনিংস।
এই ওয়েস্টইন্ডিজ দলের প্রধান দুই ক্রিকেটার ক্রিস গেইল এবং আন্দ্রে রাসেল। কিন্তু এদিন দুজনেরই অবদান শূন্য তাঁদের পরিবর্তে দারুণ আশা জাগালেন ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের নতুন প্রজন্ম। বিশেষ করে টি২০-এর মারকাটারি ব্যাটিং-এর যুগে এক অন্যরকম ব্যাটিং প্রদর্শন করলেন শাই হোপ। ম্যাচের চতুর্থ ওভারে ব্যাট করতে নেমে খেললেন একেবারে ৪৭তম ওভার পর্যন্ত। ৪ রানের জন্য শতরান হারালেন, মারলেন মাত্র ৪টি চার ও ১টি ছয়।
এদিন তিনিই হলেন ওয়েস্টইন্ডিজ ব্য়াটিং-এর মেরুদণ্ড। ৩.২ ওভারের মাথায় ক্রিস গেইলকে ০ রানে ফিরিয়ে দিয়ে দারুণ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তারপর ইনিংস গড়লেন এভিন লুইস (৭০) ও শাই হোপ। জুটিতে ১১৬ রান তুলে তাঁরাই বড় রান করার মঞ্চটা তৈরি করে দিলেন।
এখান থেকে ওয়েস্টইন্ডিজ ইনিংস-কে পরের ধাপে নিয়ে যান শিমরন হেটমায়ার। মাত্র ২৬টি বল খেলে ৫০ রান করে গেলেন এই তরুণ বাঁহাতি। মারলেন তিনটি বিশাল ছয়, ও ৪টি চার। তাঁর ১০৪ মিটার লম্বা ছয়টি পড়ল স্টেডিয়ামের বাইরে গিয়ে। যার দৌলতে ৩৯ ওভারে ২৪০ রানে পৌঁছে গিয়েছিল ওয়েস্টইন্ডিজ।
কিন্তু ৪০ তম ওভারেই প্রথমে হেটমায়ার আর তারপর রাসেলের উইকেট তুলে নিয়ে ওয়েস্টইন্ডিজের রান তোলার গতিতে কিছুটা লাগাম লাগান মুস্তাফিদুর রহমান। শুধু ফিজই নয়, গোটা বাংলাদেশ বোলিং-ই তুলনায় ভাল বল করল শেষ দশ ওভারে। তাই রানটা যেখানে ৩৫০ ছাপিয়ে যাবে মনে করা হচ্ছিল সেখানে ৩২১-এর বেশি উছল না।
হেটমায়ার ছাড়া অধিনায়ক জেসন হোল্ডারও একটি ১০৫ মিটার দৈর্ঢের ছক্কা হাঁকিয়ে আরও একটি বল হারিয়ে দেন। ৪টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে তিনিও একটি ১৫ বলে ৩৩-এর ঝোড়ো ইনিংস খেলে যান। ব্রাভো ২টি ছয় মেরে করেন ১৫ বলে ১৯।
টন্টনের মাঠের আকার বেশ ছোট। এই মাঠে এর আগে ছয় মারার জন্য খ্যাত হয়ে আছেন ভিভ রিচার্ডস থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বাংলাদেশ দলেও তামিম, সৌম্য, সাকিব-রা ছয় মারতে কম যান না। ওয়েস্টইন্ডিজের এই রানটা যথেষ্ট হল, না বাংলাদেশ রানটা তাড়া রকরে ফেলে সেটাই এখন দেখার।