শিখর ধবনের সঙ্গে রবীন্দ্র জাদেজা দলে থাকলে দু' জন। তা নাহলে প্রথম একাদশে মাত্র একজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নিয়েই মাঠে নামতে হবে ভারতকে। চার নম্বর জায়গা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছাড়াও ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপের এই দুর্বলতা নিয়ে চিন্তিত অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞই। প্রাক্তন তারকা সচিন তেন্ডুলকর কিন্তু মনে করছেন, দলে বেশি বাঁ হাতি না থাকা নিয়ে খুব বেশি উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই বিরাট কোহলিদের।
বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী অধিকাংশ দলগুলিই প্রথম একাদশে ডান এবং বাঁ হাতি ব্যাটসম্যানদের ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করছে। কিন্তু ভারতের প্রথম একাদশে একমাত্র শিখর ধবনই বাঁ হাতি। ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে শিখরের পরে প্রথম পাঁচ থেকে ছ' জন ব্যাটসম্যানের মধ্যে আর কেউ বাঁ হাতি নেই। এক যদি স্পিনিং অলরাউন্ডার হিসেবে রবীন্দ্র জাদেজা সুযোগ পান, তাহলেই দু' জন ব্যাটসম্যান নিয়ে মাঠে নামবে ভারত। এ ছাড়া স্পিনার কুলদীপ যাদব বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান। ফলে প্রথম একাদশে বাঁহাতি অভাব ভারত ভোগাতে পারে বলে আশঙ্কা অনেকের।
সচিনও মানছেন দলে ডান এবং বাঁ হাতি ব্যাটসম্যানদের ভারসাম্য থাকলে বিপক্ষকে চাপে ফেলা যায়। ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যানের কথায়, "এ কথা ঠিক যে দলে ডান এবং বাঁ হাতি ব্যাটসম্যানদের সঠিক কম্বিনেশন থাকলে একদিকে যেমন বিপক্ষ বোলারদের বিভ্রান্ত করা যায়, তেমনই বার বার ফিল্ড বদল করিয়ে বিপক্ষ অধিনায়ককেও চাপে ফেলা যায়।" এর সঙ্গে অবশ্য সচিন যোগ করেছেন, "কিন্তু যদি ভারতীয় দলের মতো কোনও দলে যথেষ্ট সংখ্যক ভাল মানের ব্যাটসম্যান থাকে, তাহলে ডান এবং বাঁ হাতি কম্বিনেশনে না হলেও কিছু এসে যায় না। আমাদের এমন কিছু ব্যাটসম্যান আছেন যাঁরা বিপক্ষকে ধাক্কা দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।"
ভারতীয় দল নিয়ে আশাবাদী সচিন বিরাটদের অন্যতম শক্তি হিসেবে মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকেই তুলে ধরছেন। সচিনের কথায়, "এত অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কেউ যদি উইকেটের পিছনে থাকে, যাঁর ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে, সেই উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে সবথেকে ভাল বুঝতে পারবে। বল থেমে আসছে, নাকি বাউন্স বা স্কিড করছে, কোথাও কোনও ফাঁক আছে কি না, এমন বিভিন্ন মতামত দিয়ে দলকে সাহায্য করতে পারবে ধোনি। অন্যান্য কিপাররাও একই চেষ্টা করবে, কিন্তু এম এসের অভিজ্ঞতাই ফারাক গড়ে দেবে।"
তবে শুধু ব্যাটিং নয়, সচিনের মতে বিরাটের হাতে একটি পরিপূর্ণ বোলিং আক্রমণ রয়েছে যা এবারের বিশ্বকাপে ভারতকে অনেকটাই এগিয়ে রাখবে। ২০১১-র বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্যের কথায়, "ভুবনেশ্বর সুইং করাতে পারে, মহম্মদ শামির বল পিচে পড়ে স্কিড করে, বুমরাহ এখন বিশ্বের এক নম্বর বোলার। এ ছাড়াও আমাদের হাতে চহাল এবং কুলদীপের মতো রিস্ট স্পিনার রয়েছে। ফলে অনেক বৈচিত্র রয়েছে দলে। আর জাদেজা আঁটোসাঁটো বোলিং করতে সক্ষম।" শুধু প্রধান বোলাররই নন, সচিনের মতে হার্দিক পান্ডিয়া, বিজয় শঙ্কর এবং কেদার যাদবের মতো বিকল্প হাতে থাকায় ভারতের বোলিং আক্রমণে এবার যথেষ্ট ভারসাম্য রয়েছে।